ঘোষণা জুতার কাঁচামাল, আনা হলো উচ্চশুল্কের চামড়া-কাপড়
৭ আগস্ট ২০১৮ ১৫:১০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : কম শুল্ক অর্থাৎ বন্ড সুবিধার আওতায় আমদানিযোগ্য পণ্য হিল গ্রিপস লাইনিং (জুতার ভেতরে পায়ের পাতার আকৃতির অংশবিশেষ)। সেই পণ্য আমদানির ঘোষণা দিয়ে আনা হয় উচ্চশুল্কের ব্যাগ তৈরির চামড়া ও কাপড়। ঘোষিত পণ্য আমদানিতে শুল্ক আসে মাত্র ৪ হাজার ৮৬০ টাকা। আর যে পণ্য আনা হয়েছে তার শুল্ক দেড় কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সেই চামড়া ও কাপড় জব্দ করে দেড় কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি রোধ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার মো. নূর উদ্দিন মিলন সারাবাংলাকে জানান, একসেনচার ফুটওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেড নামে ঢাকার একটি চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিল গ্রিপস লাইনিং আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হিসেবে পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল এম এ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড।
একসেনচার ফুটওয়্যারের ঘোষণা দেওয়া এই পণ্য ওয়ানজিউ লিংজিয়ান ইন্টারন্যাশনাল নামে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠায়। গত ১৯ জুন চীনের নিঙ্গবো বন্দর থেকে একটি জাহাজ দুইটি কনটেইনারে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২৩ জুন জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
২১ জুলাই কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়। এতে দুইটি কনটেইনারে ২ হাজার ১০২ প্যাকেজে ৫৪ হাজার কেজি ঘোষিত পণ্য আমদানির কথা বলা হয়। এরপর গত ২৩ জুলাই শুল্কায়ন সম্পন্ন হয়।
কিন্তু খালাস পর্যায়ে পণ্য পরীক্ষার সময় পাওয়া যায় আর্টিফিশিয়াল লেদার ও টেক্সটাইল ফেব্রিক্স যা দিয়ে লেডিস ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ খালাস বন্ধ করে কায়িক পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করে।
কায়িক পরীক্ষায় ৫১ হাজার ৯৬৮ কেজি আর্টিফিশিয়াল লেদার ও ১ হাজার ৯৬২ কেজি টেক্সটাইল ফেব্রিক্স পাওয়া যায়।
কাস্টমস কর্মকর্তা নূর উদ্দিন মিলন বলেন, দেড় কোটি টাকার শুল্কায়নযোগ্য পণ্য এনে মাত্র সাড়ে ৪ হাজার টাকা দিয়ে পণ্য ছাড়িয়ে নিতে চেয়েছিল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। তবে কাস্টমসের তৎপরতায় দেড় কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হচ্ছে।
সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন