Sunday 01 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

 ভারতীয় মুদ্রা তৈরিতে ঝুঁকছে একটি চক্র  


২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৬:০৮ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৬:২৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশি জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাতকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারতীয় জাল টাকা তৈরিতে ঝুঁকে পড়ছে এক‌টি চক্র।

বৃহস্প‌তিবার দুপু‌রে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মি‌ডিয়া সেন্টা‌রে আয়োজিত এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এমরানুল হাসান।

এরআগে বুধবার কেরানীগঞ্জের একটি বাসা থেকে বিপুল পরিমান জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম ও ১০ লাখ জাল রুপিসহ লিয়াকত ও তার সহযোগী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়।

এমরানুল হাসান বলেন, ‘জাল টাকা তৈরির মাস্টারমাইন্ড ছগির মাস্টার শেয়ারবাজার ধসের পর জাল টাকা তৈরির সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। ১৯৯৬ সাল থেকে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন লিয়াকত আলী। এরপর জাল মুদ্রা তৈরির সিন্ডিকেট গড়ে তুলে গত ১০ বছর ধরে এ ব্যবসা করে আসছে সে। প্রতি মাসে ভারতীয় ৫০ থেকে ৬০ লাখ রূপি তৈরি করে সরবরাহ করতেন লিয়াকত। এতে তার দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় হ‌তো।’

বিজ্ঞাপন

‌র‌্যাব জানায়, লিয়াকত স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় জাল মুদ্রা সরবরাহ করতো। এ ছাড়া প্রতি লাখ জাল ভারতীয় রুপি ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। ভারতীয় ৫০০ ও এক হাজার রুপির নোট তৈরি সহজ হওয়ায় সে এ সব নোট তৈরি করতো।

র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, লিয়াকত কাটআউট পদ্ধতিতে জাল রুপিগুলো ভারতে সরবরাহ করতো। এটা একটা চেইন পদ্ধতি। তবে লিয়াকত কার কাছে জাল রুপিগুলো সরবরাহ করতো সেটা নিজেই জানতো না। সে ছিল জাল রুপির পাইকারী বিক্রেতা। তারপরও আমরা কিছু নাম পেয়েছি, তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ছাড়া লিয়াকতের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

সারাবাংলা/এসআর/টিএম/এমআই

চক্র জাল রুপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর