শহিদুল আলমসহ আটককৃতদের মুক্তি দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের
৮ আগস্ট ২০১৮ ২৩:৪১
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ঘটনায় আটক আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ সকলের মুক্তি দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. শহিদুল আলমকে যে প্রক্রিয়ায় অপহরণ করা হয়েছে তা নিন্দনীয়। তাকে অপহরণের দৃশ্যটি দেশে নাগরিকের অধিকার ও আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যদি আইন না মানা হয় তবে কিসের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী? বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে আমরা বলতে চাই যে, নাগরিককে ব্যাখ্যা জানানো হচ্ছে সরকারের দায়িত্ব। আমরা সরকারের কাছে জানতে চাই কেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাসীদের মত আচরণ করছে? একের পর এক নাগরিক কেন হামলা ও অপহরণের শিকার হচ্ছেন?
অবিলম্বে শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাকে আটক করা অবস্থায় অত্যাচার করা হয়েছে এবং তার চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন।
শিক্ষকরা নিরাপদ সড়কের প্রসঙ্গে বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে করা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কেন নিপীড়ন আর সহিংসতা করা হলো? পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন পুলিশের সহযোগিতায় বহিরাগত সন্ত্রাসীর হামলার শিকার হলেন? ২২ জন শিক্ষার্থীকে কেন দুই দিনের রিমান্ড দেয়া হলো? শহরের কোথাও কোথাও দলীয় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন বাসায় লুকিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর নানা আক্রমণ চালাচ্ছে এবং বিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিচ্ছেন বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়। বলা হয়, এ সমস্ত কিছুর আমরা জবাব চাই, আইনি ব্যবস্থা নিতে চাই। শিক্ষার্থীদের সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, আমরা ন্যায়বিচার চাই।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকরা শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আইনুন নাহার, ইউল্যাবের ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি আজফার আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী অর্ক রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের খাদিজা মিতু, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সিউতি সবুর প্রমুখ।
সারাবাংলা/কেকে/এনএইচ
আরও পড়ুন,
শহিদুল আলম ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ মতো অপরাধ করেছেন