মঈনুদ্দীনকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেবে সরকার
২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৬:০৪
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : ব্রিটেনে পালিয়ে থাকা বাংলাদেশের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চৌধুরী মঈনুদ্দীনকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সারাবাংলায় বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নিউজ পড়েছি। প্রপার অথরিটির (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের) সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান কবির জানান, রায়ের পরপরই পলাতক যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে কয়েকটি মন্ত্রণালয় মিলে কমিটি করা হয়েছে, প্রতিমাসে কমিটির বৈঠক হয়। কিন্তু কোনো অগ্রগতি আমার জানা নেই।
এদিকে এই মামলার প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, পলাতক যুদ্ধাপরাধীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার একেবারেই তৎপর না বলে মনে করি। আমাদের মনস্তাত্ত্বিক বিজয় হয়েছে কিন্তু রায় কার্যকরের বিষয়ে আমরা উদাসীন। এই মামলার ১১টি অভিযোগ প্রমাণ করতে, সাক্ষি যোগাড় করতে যথেষ্ট কষ্ট ও খরচ হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের ফেরত আনার বিষয়ে কোনো ফল আসেনি।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারও দ্বৈত অবস্থানে রয়েছে,দণ্ডপ্রাপ্ত একজন যুদ্ধাপরাধীকেও তারা অবাধে নিজের দেশে ঘুরতে দিচ্ছে। মৃত্যুদণ্ডের বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান দেখিয়ে তারা এ কাজ করছে। অপরাধ বিবেচনায় অন্তত মঈনুদ্দীনকে তাদের জেলে রাখতে পারে।
২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর আলবদর নেতা চৌধুরী মঈনুদ্দীনকে ফাঁসির আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যার দায়ে দণ্ডিত হয় চৌধুরী মঈনুদ্দীন। এছাড়াও একই অপরাধে ফাঁসির আদেশ পায় আরেক আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান।
১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে আলবদর বাহিনীর চিফ এক্সিকিউটর ছিল আশরাফুজ্জামান খান। আর চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ছিল সেই পরিকল্পনার অপারেশন ইনচার্জ।
যুদ্ধাপরাধী মঈনুদ্দিন ঘুরছে ইন্টারপোলের নাকের ডগায়
সারাবাংলা/একে/জেডএফ