পোশাকখাতে অসন্তোষের শঙ্কা, সর্বোচ্চ সতর্কতা
৯ আগস্ট ২০১৮ ১৩:৩০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: কোরবানি ঈদের আগের তৈরি পোশাক খাতে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। বেতন-বোনাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে বহিরাগতরা এই অসন্তোষ তৈরি করতে পারে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্কতা অবলম্বন করেছে শ্রম মন্ত্রণালয় ও পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কোর কমিটির বৈঠকে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস প্রদান ও সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী, বিকেএমইএ, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ও শিল্পাঞ্চল পুলিশ।
বৈঠকে এ মাসের ১৬ তারিখে শ্রমিকদের বোনাস ও ১৯ তারিখে বেতন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, ঈদের আগে বেতন বোনাস নিয়ে বহিরাগতরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তবে এ সব জটিলতা এড়ানোর জন্য সতর্কমূলক সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে জানে ও পারে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস অবশ্যই দিতে হবে। এ বিষয়ে কেউ ঝামেলা করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগের ঈদগুলোতেও শিল্প পুলিশেরা ভালোভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে বলে কোনো ঝামেলা তৈরি হয়নি। এবারও ঝামেলা এড়াতে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নীট পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ জানিয়েছে, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন বোনাসসহ সার্বিক নির্দেশনা এরই মধ্যে জানানো হয়েছে। নীট শিল্পের উদ্যোক্তা, শিল্প শ্রমিক, পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে যেন সঙ্গে সঙ্গে মোকাবিলা করে। এ খাতে বহিরাগত শ্রমিক নামধারীরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়গুলো কঠিনভাবে বিকেএমইএ মনিটরিং করছে।
ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ইউনিট জানিয়েছে, ঈদের আগে বিভিন্ন কারখানা তাদের কাঠামো অনুযায়ী বেতন-বোনাস দেয়। এটি নিয়েও অসন্তোষ তৈরি হয়। এ সব কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে।
এছাড়া ঈদ উপলক্ষে শ্রমিকদের এলাকাভিত্তিক ছুটি দেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা। ঈদকে কেন্দ্র করে তৈরি পোশাক খাতে সম্ভাব্য যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি গার্মেন্ট মালিকদের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/জেএএম/একে