Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘হালাল পণ্য উৎপাদনে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রয়োজন’


৯ আগস্ট ২০১৮ ১৮:১২

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ‘সারা বিশ্বে হালাল পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিদেশে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে এবং রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করতে হালাল পণ্য উৎপাদনের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। আর এই জন্য প্রয়োজন একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।’

বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘হালাল সনদের মানদণ্ড এবং প্রতিবন্ধকতা: বাংলাদেশের সম্ভাবনা‘ শীর্ষক সেমিনার বক্তারা এসব কথা বলেন।

ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, দুবাই ভিত্তিক প্রতিষ্ঠা আরএসিএস কোয়ালিটি সার্টিফিকেটস ইস্যুয়িং সার্ভিসেস এলএলসি-এর বিক্রয় ও বিপনন বিভাগের প্রধান ওসামা ইমাম। ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সাইদ মোহাম্মদ আল-মেহেরি।

বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসিব অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে থেকে হালাল পণ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ১টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।’

বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ ভাগই মুসলমান, যার ফলে হালাল পণ্য উৎপাদান ও রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান বিশ্বে হালাল বিষয়টি শুধুমাত্র খাদ্য পণ্যের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের সাথেও জড়িত। আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানো, রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং আরো অধিক হারে জনগনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে হালাল পণ্য উৎপাদনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ‘প্রাইসওয়াটার হাউস কুপারস বাংলাদেশ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ২৮তম এবং ২০৫০ সালে ২৩তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার পূর্বভাস প্রদান করেছে। এলক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিস্তৃত করার কোনো বিকল্প নেই।’

বর্তমানে বৈশ্বিক ইসলামিক বাজার মূল্য প্রায় ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা পৃথিবীর মোট খরচের প্রায় ১১.৯ শতাংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবী জুড়ে হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং থাইল্যান্ড এগিয়ে রয়েছে কিন্তু মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবেও আমরা ভালো অবস্থানে যেতে পারিনি। বাংলাদেশে হালাল পণ্যে উৎপাদনকে আরো জনপ্রিয় ও এ খাতের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন দরকার।’

আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সাইদ মোহাম্মদ সাইদ বলেন, ‘মুসলিম প্রধান দেশগুলোর পাশাপাশি অমুসলিম জনবহুল দেশগুলোতে হালাল পণ্যের চাহিদা ও ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে হালাল পণ্য উৎপাদনের বিষয়টি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছে।’

তিনি জানান, ট্রান্সপারেন্সি মার্কেট রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে সারা পৃথিবীতে হালাল পণ্যের বাজার মূল্য ছিল প্রায় ২.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৪ সালে এটি ১০.৫১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি দেশে শুধুমাত্র মাংস রপ্তানি করছে। তার দেশ এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আরো বেশি হারে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।

বিজ্ঞাপন

মুক্ত আলোচনায় ডিসিসিআই এসএম জিল্লুর রহমান, পরিচালক ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সাবেক ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, এম এস সেকিল চৌধুরী এবং আহবায়ক এম এস সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/জিএস/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর