Friday 04 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কামাল হোসেন আর গুন্ডাদের ভাষায় পার্থক্য নেই : হাছান মাহমুদ


১০ আগস্ট ২০১৮ ১৮:৫৫ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০১৮ ০৮:২৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের মুখের ভাষা আর গুন্ডাদের মুখের ভাষার পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের উদ্যোগে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, কামাল হোসেন বলেছেন গুন্ডাতন্ত্র! ঠিক বলেছেন গুন্ডাতন্ত্র! তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেভাবে গুন্ডা নামিয়েছেন ও যেভাবে হামলা চালিয়েছেন, যোগাযোগে মাধ্যমে তাদের পরিচয় বেরিয়ে এসেছে। কারা স্কুল ব্যাগে চাপাতি ও পাথর রেখেছিল ও সাংবাদিকদের হেনস্তা করেছিল, তিনি সম্ভাবত সেগুলোর কথা বলেছিলেন। তার ভাষার মধ্যে আর গুন্ডাদের ভাষার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখছি না। আশা করবো আপনার যে অবস্থান ছিলো সেটা রক্ষার জন্য হলেও শালীন ব্যবহার করবেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে মানুষ যখন হতাশ হয় তখন অশালীন কথাবার্তা বলে। ড. কামাল হোসেন ১/১১ এর কুশীলবদের নেতা ছিলেন। তিনিসহ তার দলের সবাই হতাশ হয়েছেন আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায়।

বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্রদের আন্দোলন নাকি কখনও বন্ধ করা যাবে না। এই ছাত্ররা কিন্তু ঘরে ফিরে গেছে। ছাত্ররা বুঝতে পেরেছে তাদের মধ্য বিএনপি জামায়াতের গুন্ডারা প্রবেশ করেছে। এটাও তারা বুঝতে পেরেছে, তাদের কে বা কারা নামিয়েছে এবং এরই সঙ্গে ছাত্ররা বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেছে। সরকার ছাত্রদের দাবি দাওয়া মেনে নিয়েছে তাই বিএনপি ও জামায়াত হতাশ।

তিনি আরও বলেন, রিজভী আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন সাইরেন বেজে গেছে। যে সাইরেন বেজেছে সেটি ১/১১ কুশীলবদের জন্য বেজেছে।

হাছান মাহমুদ জানান, নেত্রী আমাদেরকে শান্ত থাকতে বলেছেন। তাই আমরা শান্ত আছি। আওয়ামী লীগ হলো ভীমরুলের চাক। কেউ ঢিল ছুড়লে আমরা একসাথে হুল ফুটাই।

আলোচনায় ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্পর্কে তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর থেকে বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা। তিনি ছাত্র অবস্থায় ফজিলাতুন্নেছাকে বিয়ে করেছিলেন। সংসার নামমাত্র পেতে ছিলেন কিন্ত দায়িত্ব ছিল তার স্ত্রীর হাতে। যখনই শেখ মুজিবুর রহমান জেলে গিয়েছেন, তখনই বেগম মুজিব বাংলাদেশকে আগলিয়ে রেখেছেন। তার অবদান ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে, থাকবে।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এআই/এনএইচ

ড. কামাল হোসেন হাছান মাহমুদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর