বড়পুকুরিয়া উন্মুক্ত করার সুপারিশ, ভাবছে জ্বালানি বিভাগ
১০ আগস্ট ২০১৮ ১৯:৩৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উন্মুক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করতে বিদেশি পরামশর্ক প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে জ্বালানি বিভাগ। চলতি মাসের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জন টি বয়েড উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের সুপারিশ করে। এই সুপারিশ বাস্তবায়নে বড় তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে মনে করছেন জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা। জ্বালানি বিভাগের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত বুধবার এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বা প্রতিবেদন আমি পাইনি। তবে বড়পুকুরিয়াসহ যেকোনো কয়লা খনি উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে আমাদের তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এগুলো হল পুনর্বাসন, পরিবেশের সুরক্ষা ও ভুগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আরও পর্যালোচনা করছি।
জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসের শুরুতে পেট্রোবাংলার অডিটোরিয়ামে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) এর নিয়োগকৃত অস্ট্রেলিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান তাদের সুপারিশগুলো উপস্থাপন করেন। এসময় জ্বালানি সচিবসহ পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেয়া সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ভুগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা তোলায় মোট পরিমানের মাত্র চারভাগ কয়লা উত্তোলন করা যাবে। এর বিপরীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে তোলা হলে ৭৫ থেকে ৯০ ভাগ পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন সম্ভব। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দক্ষিণে তিন বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৬ কোটি ২০ লাখ টন কয়লা মজুদ আছে। উত্তরের দেড় বর্গকিলোমিটার এলাকায় মজুদ আছে ৯ কোটি ২০ লাখ টন। ভুগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা হলে খনির উত্তর অংশ থেকে এক কোটি টন এবং দক্ষিনের অংশ থেকে ৪০ লাখ টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ভুপৃষ্ঠ থেকে ৬৫৭ ফুট গভীরে কয়লার মজুদ রয়েছে। এতদিন খনির কেন্দ্রীয় অংশ থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ কোটি টন মজুদ থেকে কমবেশি এক কোটি টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে।
বর্তমানে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ফেইজ ১২১০ডি থেকে চলতি কয়লা উৎপাদন গত ১৫ জুন শেষ হয়েছে। ওই ফেইজ থেকে পরবর্তী ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করে কয়লা উৎপাদন শুরু করতে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।
সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম