রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে হটলাইন চালু করবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার
১১ আগস্ট ২০১৮ ১৯:৩৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে হটলাইটন চালু করবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। মিয়ানমার সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে দেশটির স্টেট কাউন্সিলের মন্ত্রী চ টিন্ট শোয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিল থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পর্কে মিয়ানমার সরকারের প্রস্তুতি সরেজমিন দেখতে গত ৮ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নেপিডোর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির ঢাকার সদস্যরাও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে মিয়ানমারে রয়েছেন।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে হেলিকপ্টারে চড়ে মংডু সফর করেন। শনিবার বিকেলে সিটুতে ফিরে রাতে রেঙ্গুন যাওয়ার কথা রয়েছে তার। আগামীকাল রোববার (১২ আগস্ট) রাতে ঢাকার উদ্দেশে মিয়ানমার ত্যাগ করবেন তিনি।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিল থেকে এক বার্তায় বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে ৮টি বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুইদেশ। এগুলো হচ্ছে-
১. দুইদেশই রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবাসনে রাজি হয়েছে। এ জন্য দুইদেশ হটলাইন চালু করবে।
২. প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গারা নিজেই ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করবে। যেখানে তাদের আঙুলের ছাপ এবং ছবি সংবলিত পরিচিতি যুক্ত থাকবে।
৩. প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার দুইটি অভ্যর্থনা কেন্দ্র এবং একটি ট্রানজিট শিবির প্রস্তুত করছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ৫টি ট্রানজিট শিবির প্রস্তুত করবে, যার মধ্যে একটির কাজ শেষ হয়েছে।
৪. আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে দুইদেশ একে অপরকে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছে।
৫. শূন্যরেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দুইদেশ একে অপরকে সহযোগিতা করবে।
৬. মিয়ানমারে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের যে কোনো মানবিক সহায়তা দেশটির সহায়তা সংস্থার মাধ্যমে দিতে হবে।
৭. বাংলাদেশের কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে রোহিঙ্গাদের যে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে, ওই পরিচয় পত্রের ভাষা পরিমার্জন করা হবে।
৮. সীমান্ত পিলার নম্বর বিপি ৩৪ ও বিপি ৩৫ দুইদেশের যৌথ দল একত্রে পরিদর্শন করবে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে মিয়ানমারের নাগরিক ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
সারাবাংলা/জেআইএল/এএস