আপিল বিভাগে ‘নো অর্ডার’, জামিন বহাল খালেদার
১২ আগস্ট ২০১৮ ১১:০৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ৬ মাসের জামিন বিষয়ে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১২ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই ‘নো অর্ডার’ দেন।
এই আদেশের ফলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ৬ মাসের জামিন বহাল রইল বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম এলাকায় একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা হামলায় ৮ যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় হুকুমের আসামি করে হত্যা মামলার পাশাপাশি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রূপান্তর করা হয়।
এই মামলায় জামিন চেয়ে গত ১ জুলাই কুমিল্লার দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই দিন বিচারক কে এম শামছুল আলমের বিশেষ আদালত খালেদা জিয়াকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার জামিন আবেদনটি ৮ আগস্ট শুনানির জন্য রাখেন।
পরে গত ১১ জুলাই এই মামলায় হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিল করে খালেদার জামিন আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি নিয়েই হাইকোর্ট ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে খালেদার জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে কুমিল্লার আদালতকে নির্দেশ দেন। কিন্তু এরপর গত ২৫ জুলাই কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এরপর আবার এই মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ৬ আগস্ট এই মামলায় খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দেন। সে জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
উল্লেখ্য জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজার রায় দেন। এই রায়ের পর থেকেই খালেদা জিয়া নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
রায়ের বিরুদ্ধে তার করা আপিলের শুনানি চলমান আছে।
সারাবাংলা/এজেডকে/এসএমএন