Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজধানীতে চালু হচ্ছে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম


১২ আগস্ট ২০১৮ ১৯:০২

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: রাজধানীতে চালু হতে যাচ্ছে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম। প্রাথমিক পর্যায়ে নগরীর চারটি পয়েন্টে পরীক্ষামূলকভাবে এই ট্রাফিক সিস্টেম চালু করা হবে, বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ডিএসসিসির নির্মল বায়ু ও টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প (কেইস) আয়োজিত ‘ক্লিন অ্যান্ড সেইফ মোবিলিটি’ শীর্ষক মাসব্যাপী এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নগরীতে ট্রাফিক ব্যবস্থা অনেক আগ থেকেই নাজুক। এই অবস্থা থেকে মুক্তি প্রয়োজন। এ জন্য আমরা জাইকার অর্থায়নে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক  সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিয়েছি।

প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে মহানগরীর গুলিস্তান (ফুলবাড়িয়া), পল্টন, মহাখালী ও গুলশান-১-এ চারটি ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হবে। এতে ভেহিকুলার ইমেজ ডিটেক্টর ভিডিও ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চলমান গাড়ির সংখ্যা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হবে। এ ছাড়া পৃথক লেন অনুসরণ করে গাড়ি চালানোর পাইলটিং প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এতে অর্জিত সাফল্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে এটি চালুর বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।

ডিএসসিসির ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৭৫ জন লোকবল নিয়ে একটি কারিগরি ইউনিট সৃষ্টির প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সড়কের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করপোরেশনের গৃহীত পদক্ষেপ অপ্রতুল হলেও করপোরেশন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, বলে জানান মেয়র।

এগুলো হলো, নিরাপদ সড়ক সৃষ্টি করা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা, রাস্তার পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে উৎসাহিত করা, বিনা প্রয়োজনে হর্ন বাজানোকে নিরুৎসাহিত করা, পথচারী চলাচলে ফুটপাত ব্যবহার করা, লেন মেনে গাড়ি চালানো, যত্রতত্র যাত্রী উঠা নামা না করে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ি থামানো, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি ব্যবহার বা কালো ধোঁয়া নির্গত যানবাহন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি ।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়াও ‘ক্লিন অ্যান্ড সেইফ মোবিলিটি’ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ৯২টি সড়কে ইন্টারসেকশন, জেব্রা ক্রসিং, লেন সেপারেটর ডট অথবা সলিড রোড মার্কিং স্থাপন করা হবে। এ ছাড়াও ২৯৪টি পথাচারি পারাপার, ৫০টি সামনে বামে মোড়, ৩২টি ইউটার্ন, ৩০টি বামে, ডানে বা ইউটার্নি নিষেধ, ৩০টি বামে থাকুন বা উভয়দিকে চলুন, ৬৪টি ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন সাইনবোর্ড বসানোর ঘোষণাও দেয়া হয় এই অনুষ্ঠান থেকে।

এ ছাড়াও ১০০টি দিক নির্দেশনামূলক চিহ্নসহ সর্বমোট ৬০০টি ট্রাফিক সাইন স্থাপন এবং ১৭টি যাত্রী ছাউনি নির্মানের পরিকল্পনাও রয়েছে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের।

সারাবাংলা/এমএ/এমআই

ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম ডিএসসিসি

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর