১০ যোগ্যতা বিচারে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় বিআরটিএ
১২ আগস্ট ২০১৮ ২১:৫১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: পেশাদার নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে কম করে হলেও ১০টি (ক্রাইটেরিয়া) মানদণ্ডে দেখা হয় বলে এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে আদালতকে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিহবন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
রোববার (১২ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেন।
প্রতিবেদনে পেশাদার চালকদের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে ১০টি ক্রাইটেরিয়া ফলো করা হয়। প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, নতুন ইস্যুর ক্ষেত্রে যেসব যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে সে গুলো হলো-
১. বাংলা অথবা ইংরেজি লিখতে এবং বলতে পারা। ২. প্রার্থীর বয়স ২০ বছর হওয়া। ৩. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপযুক্ততার মানদণ্ডে উত্তীর্ণপূর্বক শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করা। ৪. শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ কমপক্ষে ২ (দুই) মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা। ৫. ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়া।৬.আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানার পুলিশ যাচাই প্রতিবেদন সঠিক হওয়া। ৭. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপযুক্ত মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া। ৮. কমপক্ষে তিন বছর হালকা বা মধ্যম শ্রেণির মোটরযান চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকলে কোনো আবেদনকারী মধ্যম বা ভারি (যে ক্ষেত্রে যেটা প্রযোজ্য) মোটরযান চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবে না। তবে শর্ত থাকে যে উপযুক্ত বলে বিবেচিত কোন শ্রেণির লোকজনকে সরকার এই বিধির কার্যকারিতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে পারবে। ৯. কমপক্ষে তিন বছর হালকা বা মধ্যম শ্ৰেণির মোটরযান চালানোর অভিজ্ঞতা থাকা সাপেক্ষে আবেদনকারী মধ্যম বা ভারি (যে ক্ষেত্রে যেটা প্রযোজ্য) মোটরযান চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে পূর্বানুরূপে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করা এবং এর মেয়াদ কমপক্ষে ২ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর ড্রাইভিং কমপিটেন্সি টেস্ট বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়া। ১০. পরিবহন যানের চালকদের আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি (আরটিসি) হতে ইস্যুকৃত পাবলিক সার্ভিস ভেহিকল অথরাইজেসন (পিএসভি) প্রাপ্ত হওয়া।
এ ছাড়া নবায়নের ক্ষেত্রে:
১. মোটরযান পরিদর্শক কর্তৃক পরিচালিত ফিল্ড টেস্ট এ কৃতকার্য হওয়া। ২. প্রার্থীদের রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় (উপযুক্ততার মানদণ্ডে) উত্তীর্ণ হওয়া৷
আদালতে জাবালে নূরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু। বিআরটিএ’র পক্ষে ছিলেন রফিকুল ইসলাম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ৩০ জুলাই এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
এ ছাড়া চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কোনো যোগ্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয় এবং সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ কি পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বিআরটিএ’কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ নির্দেশনার আলোকে বিআরটিএ আজ আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করে।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই