সরকারি কর্মচারীদের গৃহঋণ, আবাসন খাতে নতুন সম্ভবনা
১৩ আগস্ট ২০১৮ ১৫:২৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আবাসন সমস্যা সমাধানে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে সরকারের জারি করা সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ সংক্রান্ত পরিপত্র। বিশেষ করে ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্বল্প সুদে গৃহ নির্মাণে ঋণ দেওয়ায় আবাসন খাতে নতুন মার্কেট সৃষ্টি হবে। এতে আবাসন খাতে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন এসব কথা বলেন। রাজধানীর হোটেল সুন্দরবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভুঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী সরকারী কর্মকর্তারা গ্রেড অনুযায়ী ৩০ লাখ টাকা থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ সুবিধা পাবেন। ২০ বছর মেয়াদী এই ঋণের সর্বোচ্চ সুদেও হার হবে ১০ শতাংশ। এর মধ্যে সরকার দিবে ৫ শতাংশ বাকি ৫ শতাংশ দেবে ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবেন। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী আবাসিক বাড়ি করার জন্য একক ও গ্রুপভিত্তিক ঋণ সুবিধা পাবেন। আবার ফ্ল্যাট কেনার জন্যও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
রিহ্যাব সভাপতি বলেন, সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সরকারি চাকরিজীবিদের এই সুবিধা দেওয়ার ফলে ১২ লাখ চাকরিজীবী তাদের আবাসন সমস্যার অবসান ঘটবে। আর এই ক্ষেত্রে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।
আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, সরকবার দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা বাণিজ্য আরও গতিশীল করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্ত বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান সরকার কর্তৃক বেধেঁ দেওয়া সুদের হার কার্যকর করছে না। বিশেষ করে অনেক ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, দুদক থেকে নতুন ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ কিংবা হয়রানি নাই। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে কিছু প্রশ্ন রিহ্যাবের কাছে এসেছিল। রিহ্যাব একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করে এনবিআর সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, এনবিআর অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে চায় না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
সারাবাংলা/জিএস/এমআই