স্নাতকোত্তরের মর্যাদা পাবে দাওরায়ে হাদিসের সনদ
১৩ আগস্ট ২০১৮ ১৭:১৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: স্নাতকোত্তরের মর্যাদা পাবে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদ। এ ক্ষেত্রে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিলের পর যারা দাওরায়ে হাদিসের সনদ পেয়েছে কেবল তাদের সনদই স্নাতকোত্তর মর্যাদা পাবে। কারণ ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল এ বিষয়ে সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেটিই এবার আইনে পরিণত করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ আগস্ট) এই আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়াও ‘বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৮’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন এবং রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সঙ্গে ২০১১ সালের নভেম্বরে করা সমঝোতা চুক্তিতে সংশোধনী এনেছে সরকার।
তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কওমি মাদ্রাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন-২০১৮-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ২০১৭ সালের ১৩ই এপ্রিল এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনটিকেই আইনে পরিণত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যে বোর্ড হবে তার নাম হবে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। কওমি মাদ্রাসায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে মূলধারার সঙ্গে একীভূত করতেই এই আইন করা হয়েছে।
কওমি মাদ্রাসা থেকে এরইমধ্যে পাস করা সকল ছাত্ররা মাস্টার্সের সমমানের সনদ অথবা মর্যাদা পাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ই এপ্রিলের আগে যারা পাস করেছে তারা এই সমমান পাবেন না। প্রজ্ঞাপন জারির পরে যারা পাস করেছে তারা পাবেন।
মোহাম্মদ শফিউল আলম আরও জানান, ‘বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৮’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা ১৯৮৪ সালের অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে এতদিন পরিচালিত হচ্ছিল। এখন এটিকে আইনে পরিণত করা হয়েছে। আইনে ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা বোর্ড গঠন করার কথা বলা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এই পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিমন্ত্রী অথবা উপমন্ত্রী পরিচালনা বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন। ১৫ সদস্যের এই কমিটিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার মনোনীত দুই জন সদস্য থাকবেন। ইনস্টিটিউট পরিচালনায় একজন মহাপরিচালক থাকবেন যিনি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রধান হবেন এবং পরিচালনা কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।’
এ ছাড়াও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ২০১১ সালের নভেম্বরে রাশিয়ার সঙ্গে করা সমঝোতা চুক্তির সংশোধনীতে আনা হয়েছে। এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১১ সালের ২ নভেম্বর যে চুক্তি হয়েছে এর সুরক্ষার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিয়ে চুক্তিটিতে সংশোধনী আনা হয়েছে।
সারাবাংলা/এইচএ/এমআই