Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুক্তামনি হাসছে-খেলছে, যেতে চায় স্কুলে


২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:২৩

মুক্তামনির খোঁজ-খবর নিতে তাদের বাড়িতে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান

ডিস্টিক্ট করেসপন্ডেন্ট, সাতক্ষীরা

মুক্তামনির হাতের ক্ষতস্থানে পোকা জমেছিল, ভয়ে তার কাছে ভিড়তো না কেউ। আত্মীয় স্বজনরাও মুক্তাদের বাড়িতে আসতো না-কিন্তু এখন মুক্তাদের বাড়ির পুরো চিত্রটা অন্যরকম। গত ২৩ তারিখ থেকেই বাড়িতে ভিড় জমে আছে, কারন ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেছে আরেক মুক্তা। মুক্তা এখন খেলছে, হাসছে, গান  গাইতে চায় সে এখন প্রাণ খুলে, মুক্তা আবার পড়তে চায়।

২৮ ডিসেম্বর সরেজমিনে মুক্তামনির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পরিবেশটাই আনন্দময়। আর মুক্তামনি জানায়,অনেকদিন পর বাড়ি ফিরে এসে ভালোই লাগছে। প্রতিবেশি বন্ধু -বান্ধবী ও সহপাঠিদের সাথে সময় কাটছে। আত্মীয়-স্বজন এবং গ্রামবাসী  ছাড়াও প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আমাকে দেখতে আসছে।“

গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একমাসের ছুটিতে বাড়ি আসে মুক্তামনি। আর মুক্তামনির বাড়ি ফেরাতে আনন্দে ভাসছেন পরিবারের সদস্যসহ গ্রামবাসীও।

বাড়ি আসার পর আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি,বন্ধুদের ভিড় লেগে আছে মুক্তামনিকে দেখার জন্য। এসেছেন সাতক্ষীরা সদর এমপি মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা শওকাত হোসেন সহ আরও অনেকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছয় মাস আগের মুক্তামনি আর আজকের মুক্তামনি এক নয়, শরীরের ভার কিছুটা কমেছে। আর এজন্য সবসময়ের মতো মুক্তামনি ধন্যবাদ দেয়,প্রধানমন্ত্রীসহ চিকিৎসকদের। মুক্তামনি বলে, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ আমার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। আর ডাক্তাররা আমার জন্য সবকিছু করেছেন, তবে এখনো পুরোপুরি ভালো হইনি, হাতে যন্ত্রণা আছে। তবে পচন নেই, পোকাও নেই-এটা ভালো লাগছে।

বিজ্ঞাপন

মুক্তামনির বাবা মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলেই মেয়ের চিকিৎসা সম্ভব হলো। এজন্য ধন্যবাদ জানাই।

পঁচে ওঠা ভারি হাত নিয়ে গত ১০ জুলাই মুক্তামনিকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তার রক্তনালীতে টিউমার ধরা পড়ে, হাসপাতাল থেকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেখার পর সিঙ্গাপুর হাসপাতাল মুক্তার চিকিৎসায় তাদের অস্বীকৃতির কথা জানিয়ে দেয়।

মুক্তামনির মা আসমা খাতুন বলেন, সিঙ্গাপুরের ডাক্তাররা রাজী না হলেও সাহসের সাথে বাংলাদেশের ডাক্তাররা মুক্তামনিকে চিকিৎসা করেছেন। আমি দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী আর চিকিৎসকদের জন্য যারা আমার মেয়েকে সুস্থ করে তুলেছে।

তবে মুক্তামনির শরীরের অবস্থা সম্পর্কে তার বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, মুক্তামনির শরীরের অবস্থা উন্নতির চেয়ে অবনতির দিকেই যাচ্ছে ধীরে ধীরে। তিনি সকলের কাছে মুক্তামনির জন্য দোয়া চেয়েছেন।

সারাবাংলা/টিএম/জেএ/জেডএফ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর