Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কয়লা দুর্নীতি: খনির জিএমকে কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ


১৩ আগস্ট ২০১৮ ২১:০৬

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দুর্নীতি অনুসন্ধানে খনির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) বা মহাব্যবস্থাপক (সারফেস অপরেশন) মো. সাইফুল ইসলাম সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৩ আগস্ট) প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে এই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

দুদকের তদন্ত কমিটির প্রধান সংস্থাটির উপপরিচালক সামছুল আলম সারাবাংলা’কে বলেন, চার কর্মকর্তাকে তলব করা হলেও কেবল সাইফুল ইসলামই আজ এসেছিলেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এর আগে, রোববার (১২ আগস্ট) খনির বর্তমান ও সাবেক আট কর্মকর্তাকে তলব করে চিঠি দেয় দুদক। এর মধ্যে চার কর্মকর্তাকে ১৩ আগস্ট ও বাকি চার কর্মকর্তাকে ১৪ আগস্ট দুদকে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু সোমবার মাত্র এক কর্মকর্তা হাজির হয়েছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম বলেন, বাকি তিন জনের মধ্যে একজন অসুস্থ, বাকি দু’জনের কাছে তলবের চিঠি পৌঁছায়নি।

সোমবার যাদের তলব করা হয়েছিল, তারা হলেন— খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর আব্দুল মতিন ও মহাব্যবস্থাপক (সারফেস অপরেশন) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার।

এদিকে, আগামীকাল (১৪ আগস্ট) কয়লা খনির চার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালককে তলব করা হয়েছে। তারা হলেন— প্রকৌশলী খুরশীদুল হাসান, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, আমিনুজ্জামান ও মিজানুর রহমান।

দুদকের অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা হয়, কয়লা খনির কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাৎ করেন, যার অনুমানিকক মূল্য ২৩০ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, কয়লা গায়েবের ঘটনা দুর্নীতির অনুসন্ধানে গত ২৩ জুলাই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক শামছুল আলমকে প্রধান করে গঠিত এই তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন— সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক এ এস এম তাজুল ইসলাম। আর তদন্ত এই কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন দুদকের পরিচালক কাজী শফিক।

পরে কয়লা আত্মসাতের ঘটনায় গত ২৪ জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে দুদক এই মামলার তদন্ত শুরু করে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর