ঢাবিতে শোক দিবসের আলোচনা শেষে ছাত্রলীগের হাতাহাতি
১৪ আগস্ট ২০১৮ ১৫:৫৯
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে ফেরার পথে হাতাহাতিতে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি প্রাঙ্গণে তারা এ হাতাহাতিতে জড়ায়। এসময় সেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে শোক দিবস উপলক্ষে টিএসসি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, সমাবেশ শেষে ফেরার পথে টিএসসি প্রাঙ্গণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে হঠাৎ হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। প্রায় ১৫ মিনিটের মতো এ হাতাহাতি ও মারামারি চলে।
ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে দেখা গেছে। তবে, ছাত্রলীগের শীর্ষ এ চার নেতার কাউকেই হাতাহাতি থামাতে দেখা যায় নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, টিএসসি প্রাঙ্গণে আমি আর শোভন ভাই কথা বলছিলাম। এসময় অপরিচিত কয়েকজন এসে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে কর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আমরা সবাইকে থামিয়ে দিয়েছি।
ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত হাতাহাতিতে জড়ানোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা তা চিহ্নিত করতে না পারলেও, এরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতাকর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম। তবে গোলযোগের সময়ে সেখানে উপস্থিতির কথা প্রথমে অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, টিএসসিতে হাতাহাতি হয়েছে বলে আমার জানা নাই। জুনিয়রদের মধ্যে মনে হয় কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে সিনিয়ররা কিছুই করেনি। আমরা তা দেখিনি। গোলযোগের সময়ে আমরা সেখানে ছিলাম না। আমরা আসার পরে তা হয়ে থাকতে পারে।
তবে হাতাহাতির সময়ে ধারণ করা ভিডিওতে ছাত্রলীগের নেতাদের দেখা যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাদ্দাম হোসেন বলেন, সিনিয়ররা গিয়ে জুনিয়রদের থামিয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও প্রথমে রিসিভ করেননি। পরে তিনি জানান, জুনিয়র কর্মীরা সামান্য হাতাহাতিতে জড়িয়েছে। কিন্তু কেন তা তিনি এখনো নিশ্চিত নন বলে জানান।
সারাবাংলা/কেকে/এএস