রাজশাহীর সাদ হত্যায় ৩ বন্ধুর মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন
১৪ আগস্ট ২০১৮ ২০:০৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চাঞ্চল্যকর রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাদিমুজ্জামান সাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আরেকজনের সাজা বহাল রেখেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে (১৪ আগস্ট) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ড থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে- নিহত সাদের বাল্যবন্ধু আল-আওয়াল কোয়েল (২০), সুইট রেজা (২১) ও মাসুদ ইবনে আলী শাওন (১৯)। আর যাবজ্জীবন বহাল থাকা আসামি হলো-কায়সার আহমেদ অনিক (২০)।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন- এসএম শাজাহান, একেএম ফজলুল হক ফরিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল হাতেম আলী ও মারুফা শিউলী।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল বলেন, আজ এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানি শেষে ফাসিঁরদণ্ড প্রাপ্ত তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া অন্য এক আসামির সাজা বহাল রেখেছেন আদালত।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে আপিল দায়ের করা হবে বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
এ মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি সাদকে পিকনিকের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন ১৮ জানুয়ারি তার লাশ ফেলে দেওয়া হয় ছাত্রাবাসের সেপটি ট্যাঙ্কে।
এদিকে ছেলের সন্ধানে ওই মাসের ২৫ জানুয়ারি বাবা আমিনুল ইসলাম রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে। পরে পুলিশ মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখে একজনকে গ্রেফতার করে। তার শিকারুক্তি মোতাবেক এ মামলায় ৬জনকে গ্রেফতার করে অভিযোগ পত্র দেয় পুলিশ।
এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ওই বছরের ৮ নভেম্বর রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ হোসেন শহীদ আহমেদ এর আদালতে রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে অভিযুক্ত তিন বন্ধুর ফাঁসি ও ১ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই মামলায় অপর বন্ধু রাশেদুল ইসলাম বিপু ও ইশরা হক ঐশির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
পরে ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও পৃথক পৃথক আপিল দায়ের করায় বিষয়টি হাইকোর্টে আসে। হাইকোর্টে দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ রায় দেন।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই