Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এই মাটি স্বৈরাচারের জন্য নয়: ড. কামাল


১৪ আগস্ট ২০১৮ ২১:০৩

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: গণফোরাম সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে যে মাটি স্বাধীন হয়েছে। সে মাটি কোনোমতেই স্বৈরাচারের জন্য নয়। এ মাটির মালিক জনগণ। এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লিখিত দলিল দ্বারা স্বীকৃত।

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। গণফোরাম ঢাকা মহানগর ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মিন্টু ওই আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন।

এতে অন্যদের মধ্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর বক্তব্য রাখেন।

ডা. কামাল হোসেন বলেন, ৭১-এ টিক্কা বাহিনী ভয় দেখিয়ে এদেশের মানুষকে দমন করতে পারেনি। অর্থের লোভ দেখিয়ে কিনতে পারেনি। আমাদের দাবি সুস্থ রাজনীতি। অন্যায়ের কাছে আমরা মাথা নত করবো না। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষই কোনোদিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না।

সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মালিকানা জনগণের কাছে দিয়ে গেছেন। পিতা যদি লিখে দিয়ে যায় তবে তা থেকে কে বঞ্চিত করতে পারে? জীবনের মিনিময়ে হলেও এ মালিকানা রক্ষা করতে হবে।

দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে ড. কামাল হোসেন এসময় আরও বলেন, সংঘবদ্ধ থাকলে পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই আমাদের বঞ্চিত করতে পারে। নিরাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভবিষ্যত উজ্জ্বল। আগামী প্রজন্ম একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাবে।

কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, এখন দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি এইচটি ইমাম। অথচ ৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার দাফনের আগেই তিনি নতুন সরকারের সব দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দেশের ক্ষমতা এখন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের হাতে আমি এটা মনে করি না। যে মন্ত্রিসভায় মতিয়া চৌধুরি আর হাসানুল হকরা থাকে সেটা মোস্তাকের আওয়ামী লীগ, লুটেরাদের আওয়ামী লীগ।

সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, যদি তাই মনে করে থাকেন তাহলে কেন ২২ জন ছাত্রকে জেলে পুরেছেন। এ সময় এসব ছাত্রের মুক্তি দাবি করে তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

জনগণ এখন বুকে পাথর চেপে বেঁচে রয়েছে এমন মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা নেই।আইনের শাসন নেই। মানুষ সত্য কথা বলতে পারে না। কেউ আইন মানে না। কি করে পারবে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতারা যখন দায়িত্বজ্ঞানহীন হন, অসত্য কথা বলেন। সেখানে সাধারণ মানুষ কি করে ভালো হবে?

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর বলেন, এখনকার মন্ত্রিসভার ৯৮ ভাগ মন্ত্রী ৭৫-এ ১৫ আগস্টের পর পরবর্তী প্রেক্ষাপটকে আলীঙ্গণ করেছিল। তারাই এখন দেশ চালাচ্ছে। এ সরকারের মধ্যে আমরা ইয়াহিয়া খানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। অথচ আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখতে চাই।

দেশের সার্বাভোমত্ব জনগণের। এটা নিয়ে কোনো ছলচাতুরি চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। এটা নিয়ে কোনো আমিত্ব চলবে না। নেতার ছেলে নেতা হবে, নেতার ভাই নেতা হবে,নেতার বোন, মেয়ে নেতা হবে-এজন্য দেশ স্বাধীন হয় নাই। যে জনগণের কথা বলবে, যার মধ্যে আমিত্ব থাকবে না যিনি জনগণের পাশে থাকবেন তিনি দেশের নেতা হবেন।

বিজ্ঞাপন

৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব’ এমন স্লোগান তখন শেখ হাসিনাই আমাকে জনপ্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এমন জানিয়ে ছাত্রলীগের সে সময়ে এই নেতা বলেন, সে সময় নিজেই এই স্লোগান চালু করেছিলেন। এখন তা ভুলে গেলে চলবে না। ২০১৮ সালে সেই স্লোগানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

সারাবাংলা/এমএস/এমআই

গণফোরাম

বিজ্ঞাপন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

আরো

সম্পর্কিত খবর