Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশে তামাক ব্যবহার কমেছে ৮ শতাংশ


১৪ আগস্ট ২০১৮ ২০:৫৩

।। সারাবাংলা ডেস্ক।।

ঢাকা: বাংলাদেশে গত আট বছরে তামাক সেবনকারীদের সংখ্যা ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে ২০১৭’ জরিপে বাংলাদেশে তামাকসেবীর হার কমার চিত্র এসেছে, যা মঙ্গলবার উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বল্প পরিসরে বাংলাদেশ তামাকের ব্যবহার ৮ শতাংস হ্রাস পেয়েছে। তামাকের ব্যবহার কমার তুলনামূলক হার প্রায় ১৮ শতাংশ, যা তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করে।

জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ধূমপায়ী এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার হ্রাস পেয়েছে যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে তামাক ব্যবহারকারীর হার ৩৫.৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লক্ষ)। এরমধ্যে, ধূমপায়ীর হার ১৮ শতাংশ (১ কোটি ৯২ লক্ষ) এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার ২০.৬ শতাংশ (২ কোটি ২০ লক্ষ)। স্বাস্থ্য ও পরিবার

বাংলাদেশে বর্তমান মোট জনগোষ্ঠীর ৩১ শতাংশই তরুণ। সুতরাং দেশে নতুন করে তামাক ব্যবসার সুযোগ দিলে তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের এই অর্জন নস্যাৎ হয়ে যাবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।

বাংলাদেশে Global Adult Tobacco Survey (GATS) ২০১৭ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), Center for Diseases Control (CDC) এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠির উপর পরিচালিত হয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকিৃত জরিপ যা তামাক ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ পর্যবেক্ষণের একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর এই জরিপ পরিচালিত হয়।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে এর আগে ২০০৯ সালে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সহজ তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় এবং যথাযথভাবে তামাকজাত দ্রব্যের উপর করারোপ করা হয় তাহলে তামাকের ব্যবহার আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তামাক বর্জনের এই চিত্রে এগিয়ে আছেন পুরুষরাই; ৫৮ শতাংশ থেকে কমে এসে ৪৬ শতাংশ পুরুষকে তামাকসেবী বলা হয়েছে জরিপে।

অন্যদিকে নারীদের মধ্যে তামাক বর্জনের হার কমেছে সামান্যই; ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে ২৫ দশমিক ২ শতাংশ। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ধূমপান কমে এলেও মুখে তামাক খাওয়ার অভ্যাস এখনও কমে আসেনি নারীদের মধ্যে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশেষত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার নির্মূলের ঘোষণায় বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে গতিশীলতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০১৭ সালে পরিচালিত গ্যাটসের ফলাফলে পরিলক্ষিত হয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি অর্জন এবং ‘সুস্থ জাতি’ গড়তে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূলের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

সারাবাংলা/একে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর