Saturday 12 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডাকার পর না আসলে এটা তারই প্রবলেম: ইকবাল মাহমুদ


১৬ আগস্ট ২০১৮ ১৭:৩০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: বড়পুকুড়িয়া কয়লা খনির দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের ডাকে যে কর্মকর্তারা আসছেন না, তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়ে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের ( দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার ( ১৬ আগস্ট) দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

কয়লা খনির দুর্নীতি অনুসন্ধানে বৃহস্পতিবার পেট্রোবাংলার ৭ কর্মকর্তাকে হাজির হতে বলা হয়। দুদকের ডাকে ৭ কর্মকর্তাই হাজির হয়েছিলেন। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে গত ১৩ আগস্ট খনির যে চার কর্মকর্তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল, তাদের মধ্যে মাত্র একজন দুদকে উপস্থিত হয়েছিলেন। আর ১৪ আগস্ট যে চারজনকে হাজির হতে বলা হয়, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন অনুপস্থিত।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কর্মকর্তারা যাদের ডেকেছেন, তারা আসবেন আমরা এটাইতো প্রত্যাশা করি। এখন কেউ যদি না আসেন আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। না আসলে যে মামলা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়।’

তিনি বলেন, ‘তদন্ত চলবে এবং আমরা যেটা বলেছি, দ্রুততম সময়ে এই মামলার শেষ পরিণতি আমরা দেবো। আমরা আমাদের কথা রাখার জন্য চেষ্টা করছি। যিনি আসবেন না এটা তো তারই প্রবলেম। কারণ তিনি তো ডিফেন্ড করবেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্যই আমরা ডেকেছি। আমরা সুযোগ দিচ্ছি আপনাকে। যদি তা না করেন, তাহলে আমরা যা ধরে নেয়ার তাই ধরে নেবো। আমাদের কর্তব্য যা আমরা তাই করবো।’

কতদিনের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা বলেছি দ্রুত এটা শেষ করার জন্য। তারা (তদন্ত কর্মকর্তা) দ্রুত এটা শেষ করার চেষ্টা করছে।’

এদিকে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দুর্নীতির ঘটনায় বৃহস্পতিবার পেট্রোবাংলার ৭ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য সারাংবাংলাকে এ তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- পেট্রোবাংলার উপমহাব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড কন্টাক্ট ম্যানেজমেন্ট) মো. নাজমুল হক; ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. শোয়েবুর রহমান; ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. সাইদ মাসুদ; উপব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মাহাবুব হোসেন; সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. মনিরুজ্জামান; সহকারী ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. মাহাবুব রশিদ ও ব্যবস্থাপক (স্টোর) মো. দিদারুল কবির।

১৩ আগস্ট তলব করা পেট্রোবাংলার ৩২ কর্মকর্তার মধ্যে বাকি ৮ জনকে ২৮ আগস্ট, ২৯ আগস্ট আরও ৮ জন ও ৩০ আগস্ট ৯ জনকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দুর্নীতি মামলায় দুদকের অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এসব কয়লার অনুমানিক মূল্য ২৩০ কোটি টাকা।

এর আগে, কয়লা গায়েবের ঘটনা দুর্নীতির অনুসন্ধানে গত ২৩ জুলাই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক শামছুল আলমকে প্রধান করে গঠিত এই তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন— সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক এ এস এম তাজুল ইসলাম। আর তদন্ত কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন দুদকের পরিচালক কাজী শফিক।

কয়লা আত্মসাতের ঘটনায় গত ২৪ জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে দুদক এই মামলার তদন্ত শুরু করে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর