স্ক্যানার লাগিয়েও মিলল না গুপ্তধন
১৬ আগস্ট ২০১৮ ২০:৩২
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের ১৬ রোডের ১৬ নম্বর বাড়িটিতে কোনো গুপ্তধন মেলেনি। বাড়িটিতে স্ক্যানার ব্যবহার করেও কোনো কিছুর সন্ধান না মেলায় অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর ও বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা স্ক্যানার দিয়ে মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। কিন্তু ওই বাড়ি থেকে কিছু না পাওয়ায় অভিযান স্থগিত ঘোষণা করেন ঢাকা জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ।
এর আগে গুপ্তধনের সন্ধানে গত ২১ জুলাই (শনিবার) সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত বাড়িটির মেঝেতে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করা হয়। সেদিন ওই বাড়িটির দুটি রুমের সাড়ে ৪ ফুট মাটি খনন করেও কোনোকিছু না পাওয়ায় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত বাড়িটি ছিল মিরপুর মডেল থানা পুলিশের নিরাপত্তায়।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, ‘এতদিন আমরা বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা করার অপেক্ষায় ছিলাম। আজ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর ও বুয়েটের এক্সপার্ট এনে ওই বাড়ির ভেতরে গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার (জিপিআর) স্ক্যানার দিয়ে দুপুর ১টা তেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত পরীক্ষা করে দেখেছি। কিন্তু বাড়িটিতে কোনো ধাতব বা গুপ্তধনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ কারণে অভিযানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়িটিতে এতদিন ধরে চলা পুলিশি নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হলো।’
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির সারাবাংলাকে বলেন, ‘ওই বাড়িতে কোনো গুপ্তধন পাওয়া যায়নি। এ কারণে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে সেখান থেকে পুলিশি পাহারা তুলে নেওয়া হয়েছে।’
গত ১০ জুলাই টেকনাফের তৈয়ব নামে এক ব্যক্তি মিরপুর থানায় অভিযোগ করেন, ওই বাড়িতে বহুবছর আগে তার এক বন্ধু সৈয়দ আলমের আত্মীয়রা প্রায় ২ মণ স্বর্ণংলঙ্কার পুঁতে রেখে পাকিস্তান চলে গেছেন। সম্প্রতি সে পাকিস্তান বেড়াতে গিয়ে এমন তথ্য পায় বলে থানাকে জানায়। এরপর তৈয়ব স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টিকে নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। এতে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে গত ১২ জুলাই রাত ১১টার দিকে গুপ্তধন উদ্ধারের জন্য চারজন যুবক ও একজন নারী ওই বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু বাড়ির কেয়ারটেকার বাধা দেওয়ায় তারা ঢুকতে পারেননি। এমন অবস্থায় বাড়ির মালিক মনিরুল ইসলাম মিরপুর থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২১ জুলাই গুপ্তধন উদ্ধার কাজ চালায় পুলিশ।
সারাবাংলা/এসএইচ/একে