Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রধানমন্ত্রীর মুখে অর্বাচীন কথাবার্তা শোভা পায় না: ফখরুল


১৭ আগস্ট ২০১৮ ১৪:৩৫

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখে ‘অর্বাচীন’ কথাবার্তা শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের সঙ্গে জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী জড়িত ছিলেন।’

এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের স্বনির্বাচিত, স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী সব জায়গায় বিএনপির ভূত দেখতে পান, তিনি সব জায়গায় জিয়া পরিবারের ভূত দেখতে পান।’

‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তক ঘটনায় তিনি খালেদা জিয়াকে কীভাবে যুক্ত করেন? তিনি জিয়াউর রহমানকে বরাবরই যা মুখে আসে, তাই বলেন। আমরা বলতেই চাই যে, আপনি (শেখ হাসিনা) রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, আপনার মুখ দিয়ে এ ধরনের অর্বাচীন কথা-বার্তা কখনই শোভা পায় না’— বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘কিন্ত এটা আপনার স্বভাব। আপনার স্বভাবের মধ্য দিয়েই একেবারে হাস্যকর, অর্বাচীন কথা-বার্তা বলেন। দয়া করে এ ধরনের কথাবার্তা বন্ধ করেন। আমরা এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দয়া করে সঠিক পথে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

‘১/১১ এর পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি’— সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মারাত্মক একটা কথা বলেছেন। তিনি নাকি ১/১১ পদধ্বনি তিনি শুনতে পাচ্ছেন!

‘এরপরও আপনারা ক্ষমতায় আছেন! এখনও পদত্যাগ করছেন না! সরকার আপনাদের, আর আপনারা ১/১১ এর পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন’— বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘একটা কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ১/১১ এর বেনিফিশারি এই আওয়ামী লীগ। এত বেশি বেনিফিশিয়ারি যে, সরকারে যাওয়ার আগেই আওয়ামী লীগের নেত্রী বলেছিলেন ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের সকল কাজের বৈধতা দেব; দিয়েছেনও। পার্লামেন্টে আইন পাস করে তাদের সব অবৈধ কাজের বৈধতা দিয়েছেন।’

 ‘এরপরও আপনারা ১/১১-এর পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন কেন?’— প্রশ্ন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমীন গাজীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্য’র আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাংবাদিক আব্দুল হাই সিকদার, এম আব্দুল্লাহ, কাদের গণী চৌধুরী, ইলিয়াস খান প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/একে

ফখরুল বঙ্গবন্ধুর খুনি বিএনপি মির্জা ফখরুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর