‘একাদশের মাঠে’ জয় ছাড়া বিকল্প ভাবছে না ১৪ দল
১৭ আগস্ট ২০১৮ ১৫:৪৬
।। সিনিয়র করসেপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে জয় ছাড়া বিকল্প নেই বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। তাই আগামী নির্বাচনে ১৪ দলসহ গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে একসঙ্গে লড়াই করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন দলের নেতারা।
শুক্রবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায়’ বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা জাতির পিতার অসমাপ্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাংবিধানিক শক্তির গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই হবে, আল্লাহর রহমতে দুনিয়ার কোনো শক্তি নাই এই নির্বাচনকে ঠেকাতে পারে। ২০১৪ সালে পারে নাই, এবারও তারা পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল বিজয় অর্জন করবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আমরা বিজয় অবশ্যই ছিনিয়ে আনবো।’
‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এবং জনগণ যে রায় দেবে সে রায় আমরা মেনে নেবো। নির্বাচন নিয়ে আর কোন ষড়যন্ত্র আমরা দেখতে চাই না। আগামী ডিসেম্বর বিজয়ের মাসে নির্বাচন হবে’ যোগ করেন নাসিম। সে লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান এ নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘১৪ দল মাঠে-ময়দানে আপনাদের সহযোগিতা করবে। নির্বাচন করার অধিকার সবার আছে। কেউ যদি নির্বাচন করতে চায় অবশ্যই করতে পারবে। সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা এদেশে চলবে না, ওটা ব্যর্থ হয়ে গেছে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-একাংশ) শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘১৯৭২ সালে আমাদের দল প্রতিপক্ষ ছিলাম। আমাদের সমাজে অনেক রকম মত থাকতে পারে, মতের চর্চা থাকতে পারে। তাই আগামীতে সেই সংসদীয় ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে রাজনীতি সে রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে।’
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা যদি মনে করি, এখন খন্দকার মোশতাকের, জিয়াউর রহমানের প্রেতাত্মারা নাই, তাহলে এটা ভুল হবে। তাই আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসতে পারে সে লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দলের শরিক দলগুলোর লোকসমাগমের সক্ষমতা নিয়ে আত্মসমালোচনা করে গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন অগ্রসর হচ্ছে, তখন আমরা যেন একটু ঝিমিয়ে পড়েছি। আমরা একটি অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছি। আগামী নির্বাচনে আমাদের চূড়ান্ত লড়াই, অস্তিত্বের লড়াই হবে।’
জাতীয় পার্টি জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংবিধানিক গণতন্ত্রের ধারাকে নসাৎ করতে পাকিস্তানপন্থী গণতন্ত্রের শত্রুরা চক্রান্ত করছে। এগুলোকে আমাদের বানচাল করতে হবে। বাংলাদেশ গড়বার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুর বশর মাইজভান্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা.ও য়াজেদুল ইসলাম, গণ আজাদী লীগের এস কে শিকদার, বাসদের রেজাউর রশিদ খান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ‘ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের সহযোগিতা করছে মিডিয়ার একটি অংশ’
সারাবাংলা/এনআর/এমও