Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেহেরপুরের হাটে পশুর তুলনায় ক্রেতা কম


১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৮:২৭

।। মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলার পশুহাটে এবার আমদানি হচ্ছে বিপুল পরিমাণ গরু ও ছাগল। স্থানীয়দের লালন-পালনকৃত গরু-ছাগল বিক্রির জন্য হাটে তোলা হচ্ছে। দরদামে ক্রেতা-বিক্রেতারা সন্তুষ্ট থাকলেও পশু আমদানির চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

হাট ঘুরে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার সবচেয়ে বড় পশু হাট হচ্ছে বামন্দী-নিশিপুর পশু হাট। হাটে ব্যাপক গরু-ছাগল উঠেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি মাংস ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আনুমানিক দর নির্ধারণ করে গরু ক্রয় করছেন ব্যাপারীরা। তিন থেকে সাড়ে তিন মণ ওজনের গরু ক্রেতাদের বেশি পছন্দ।

তবে ব্যক্তি পর্যায়ে বড় আকারের গরু ক্রয় না হলেও বাইরের জেলার ব্যাপারীরা বড় গরু ক্রয় করছেন। গরুর বাজার দরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

গরু

গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের ইকরামুল হোসেন বলেন, ‘এক বছর ধরে একটি ষাঁড় পালন করে বামন্দীর হাটে তুলেছি। ৬ মণ মাংস হতে পারে। আমি এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দাম চাচ্ছি। ব্যাপারিরা ১ লাখ ১০ টাকা দাম বলছেন।’

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির গরু ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ১০-১৫ বছর ধরে এই হাট থেকে গরু কিনছি। এবার সর্বোচ্চ গরু আমদানি দেখা যাচ্ছে। নায্যমূলেই আমরা পর্যাপ্ত সংখ্যক গরু ক্রয় করছি।

এদিকে একই চিত্র ছাগল বাজারেও। প্রতি কেজি মাংস ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা কেজি আনুমানিক মূল্য ধরেই কেনাবেচা হচ্ছে। তবে গরুর চেয়ে ছাগল আমদানি কম বলে জানান ক্রেতারা।

বামন্দী-নিশিপুর গো-হাটে মেহেরপুর জেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী জেলার গরু কেনাবেচা হয়। হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা দরদামে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ঢাকার হাটে গরু বিক্রিতে ইচ্ছুক ব্যাপারির দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গোয়ালগ্রামের গরু ব্যাপারি আকরাম হোসেন বলেন ঋণ নিয়ে ১৬টি গরু ক্রয় করেছি। ঢাকার পশুহাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাব। শেষ মুর্হূতে ভারতীয় গরু আনা হলে আমাদের পথে বসতে হবে।

মেহেরপুর জেল প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার কোরবানি উপযোগী পশুর সংখ্যা ৯৯ হাজার ২৯৬টি। জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৭৭ হাজার ৫৯টি।

বামন্দী-নিশিপুর হাট ইজারাদার কামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার থেকে গরু-ছাগল আমদানী বেশি হচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা বেশি। আগামীতে আরও বেশি সংখ্যক গরু-ছাগলের আমদানি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সারাবাংলা/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর