পদ্মায় প্রবল স্রোত, পাটুরিয়া ঘাটে ঘরমুখীদের ভোগান্তি
১৮ আগস্ট ২০১৮ ১১:৫০
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
মানিকগঞ্জ: পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ব্যহত হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে ফেরি চলাচল। ফলে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়। স্রোতের বিপরীতে একেকটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে যেতে সময় লাগছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে ফেরিগুলো যাতায়াত করতে পারতো।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া নৌ পথের দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। এই চার কিলোমিটার পথ স্রোতের কারণে অতিক্রম করতে ফেরি গুলোকে ওভার স্পিডে চলতে হচ্ছে। আর স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ রুটের বেশির ভাগ ফেরি চলাচলের মতো শক্তি না থাকায় অত্যন্ত ধীর গতিতে চলতে হচ্ছে। এতে ফেরির ট্রিপ সংখ্যও কমে যাচ্ছে। ফলে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী বহনকারী যানবাহন পাটুরিয়া ঘাটে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নিয়ে পারাপার হচ্ছে ফেরি।
পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির দৃশ্য। দীর্ঘ সময় বাস-ট্রাক, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার গুলো সারি সারি ভাবে অপেক্ষা করছে পাটুরিয়া ঘাটে। আর দুই-তিন দিন ধরে ফেরি পারারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে আছে প্রায় ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। ১১টি রো রো বড় ফেরি এবং ৯টি ছোট ও মাঝারি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে যানবাহন। কিন্ত ফেরি পর্যাপ্ত থাকলেও পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো তার স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে না পারায় ফেরি ট্রিপ সংখ্যাও কমে গেছে। এতে করে পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বেশি পড়ে যাওয়ায় দেখা দিচ্ছে যানজট আর দীর্ঘ লাইন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের লাইন পাটুরিয়া ফেরি ঘাট থেকে আড়াই কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। তীব্র গরমে বাসের ভেতরে বসেই সময় কাটাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা সেক্টরের এজিএম জিল্লুর রহমান জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতের আর শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে নাব্য সংকটের প্রভাবে পাটুরিয়ায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ পড়েছে। আগে একটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে সময় লাগতো ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। এখন দিগুন সময় লাগছে। এতে ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও কমে গেছে। তবে ফেরির কোন সমস্যা নেই। ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস পারাপার করায় ঘাট এলাকায় ট্রাক গুলো সাময়িক আটকা রয়েছে। আর ছোট গাড়ির চাপ বড় গাড়ির চাইতে বেশি।
সারাবাংলা/এমএইচ