গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
১৮ আগস্ট ২০১৮ ১৬:০৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : রাজধানীতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও ত্রুটি খুঁজতে রাস্তায় নেমেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটির সদস্যরা।
শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে কমিটির সদস্যরা উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. খলিলুর রহমানের সমন্বয়ে এই পরিদর্শন কাজ চলে।
পরিদর্শনকারী দলে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. খলিলুর রহমান ও মহাপরিচালক-১ গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলাল।
কর্মকর্তারা সকাল থেকে আব্দুল্লাহপুর, বিমানবন্দর, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ ও টিএসসি হয়ে দক্ষিণ নগর ভবনে যান। এসময় পথে ট্রাফিক অনিয়ম এবং ত্রুটিগুলো পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
পরিদর্শনের সময় এসব এলাকার সব আন্ডারপাস ও ফুটওভার ব্রিজ ঘুরে দেখেন কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে সড়ক ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ত্রুটি চিহ্নিত করেন। এছাড়া ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২২টি ইউলুপ নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতাও যাচাই করে দেখছেন পরিদর্শক দল।
এর আগে, গত ১৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চলাচলের সময় সব গণপরিবহনের দরজা বন্ধ রাখা, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী উঠানামা বন্ধ করা, বাসের ভেতর চালক ও হেলপারের বৃত্তান্ত প্রদর্শন, দূরপাল্লার বাসে চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্টের ব্যবস্থা রাখা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় স্বয়ংক্রিয় ও রিমোট কন্ট্রোলড অটোমেটিক বৈদ্যুতিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করার মতো পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি), বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ঢাকা জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ স্কাউট, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন এবং শিক্ষা ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শনিবার পরিদর্শন শেষে চিহ্নিত সমস্যাগুলোর প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এরপর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং যানজট নিরসনে নেওয়া পদক্ষেপগুলো গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট আবার বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বরাবর উপস্থাপন করবে।
সারাবাংলা/এসএইচ/এসএমএন