Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এলডিপি নেতা রেদোয়ানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন


১৯ আগস্ট ২০১৮ ২২:১৭

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী এলডিপি নেতা রেদোয়ান আহমেদ বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামির জামিন বাতিলেরও আদেশ দেন।

রোববার (১৯ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার বিশেষ জজ-২-এর বিচারক রুহুল ইমরান এ আদেশ দেন।

জড়িত থাকা এ মামলার অপর আসামি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৎকালীন অর্থ সচিব শাহ আলম পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধেও এদিন চার্জগঠন করা হয়।

দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটিতে আজ আগেও চার্জঠনের শুনানি হয়েছে। আসাপিক্ষ বারবার সময় নেওয়ার কারণে তা পিছিয়ে যাচ্ছিল। এর আগের ধার্য তারিখেও আসামি পক্ষ সময় আবেদন করায় আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ১৯ আগস্ট আসামিকে আদালতে হাজির থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু এদিন আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় তিনি অসুস্থ বলে সময় প্রার্থণা করা হয়। কিন্তু এদিন আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামির জামিন বাতিল করে চার্জগঠন করেন।

উল্লেখ্য, গত ২০০৭ সালে মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর আসামি রেদোয়ান আহমদের পক্ষে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রীট আবেদন করা হয়। ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি লিভ টু আপিল করেন। যা আপিল বিভাগ ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর খারিজ করে দেন। ওই রায় পুনঃপর্যালোচনার জন্য তিনি আপিল বিভাগে ২০১৬ সালে একটি রিভিউ আবেদন করেন। যা বিচারাধীন দেখিয়ে আসামি বার বার সময় নিয়েছেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ হাট-বাজার থেকে প্রতি বছর যে টাকা মন্ত্রণালয় পায় তার ৪ ভাগ টাকা দুঃস্থ ও বেকার মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকে দেওয়া হয়। যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। উক্ত টাকা জমা রাখার জন্য সোনালী ব্যাংক মগবাজার শাখায় একটি হিসাব রয়েছে। ২০০২ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থ সচিব শাহ আলম উক্ত অর্থের জিম্মাদার হিসেবে বহাল থাকাবস্থায় তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান মো. কবির আহমদের প্ররোচনায় ওই হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

বিজ্ঞাপন

ওই ঘটনায় ২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম রমনা থানায় একটি মামলা করেন।

সারাবাংলা/এআই/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর