পশুখাদ্যের বাজার জমেছে অলি-গলিতে
২০ আগস্ট ২০১৮ ০৮:৪৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ঈদুল আজহাকে ঘিরে এরই মধ্যে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। ক্রেতারাও আড়মোড়া ভেঙে কিনতে শুরু করেছেন কোরবানির পশু। পাড়ায়-মহল্লায়ও চোখে পড়ছে কিনে রাখা কোরবানির পশু। সেই সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই চোখে পড়ছে গো খাদ্যের পসরা। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কোরবানির হাটসহ অলিগলিতে বিভিন্ন ধরনের পশুখাদ্যের সম্ভার নিয়ে বসেছেন।
কোরবানির মাত্র দু’দিন আগে পশুর খাবার বিক্রির জন্য এখন নগরজুড়ে মৌসুমী পশুখাদ্য বিক্রেতার ছড়াছড়ি। বছরের অন্যান্য সময়ে তারা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কোরবানির ঈদের আগে মাত্র দুয়েকদিনের পরিশ্রমে অনেক ভালো অঙ্কের টাকা আয়-রোজগার হয় বলে জানান পশুখাদ্য বিক্রেতারা।
বিক্রি হওয়া পশুখাদ্যের তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, গমের ভূষি, খেসার ডালের ভূষি, ধানের গুঁড়া, খড় ও ঘাস।
রোববার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর রামপুরা-বাড্ডা, মতিঝিল, লালবাগ ও ধানমন্ডি থানার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার বহু এলাকায় পশুখাদ্য বিক্রির ভাসমান দোকান বসেছে। এসব দোকানে ১০ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ মালামাল বিক্রি করছেন। পিছিয়ে নেই নারীরাও।
রাজধানীর অন্যতম বড় পশুর হাট বসেছে রামপুরার আফতাবনগর এলাকায়। এ হাটে হাজার হাজার গবাদিপশু বিক্রির অপেক্ষায় আছে। বিক্রিও শুরু হয়েছে।
ডিআইটি রোডের পাশে বাঁশের বাজারের ভেতর বসেছে গোখাদ্যের বাজার। সেখানে কথা হয় সালেহা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, খড়গুলো রংপুর থেকে শনিবার রাতেই নিয়ে আসা হয়েছে। ছোট আকারের প্রতি গোছা খড় বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি চালের ভূষি ২৫ এবং গমের ভূষি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তার একটু দূরেই ভ্যানের ওপর কাঁচা ঘাষ বিক্রি করছেন সোলায়মান। সারাবছর অন্য কাজ করলেও এসময় ঘাস বিক্রিতেই সময় কাটবে তার। রাজধানীর নিচু এলাকা থেকে সংগ্রহ করা এসব ঘাস গোছাভেদে দশ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর কলাবাগান মাঠের সামনে পশুখাদ্য বিক্রি করছিলেন জাহাঙ্গীর নামের এক তরুণ। তিনি জানান, অন্যান্য সময় তরি-তরকারি বিক্রি করলেও প্রতি ঈদে তিনি পশুখাদ্য বিক্রি করেন।
এদিকে, কোরবানিকে কেন্দ্র করে পশুখাদ্যের দুই স্তরের হাট বসেছে রাজধানীতে। গবাদিপশুর হাটের আশপাশেই বসেছে এসব খাদ্যের হাট। এখানে ঘাস বা ভূষির দাম খানিকটা কম। এর বাইরে বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতেও বসছে পশুখাদ্যের হাট। সেগুলোতে দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় এমনই একটি হাটে কথা হয় আমেনা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, তার দোকানের সব মালামালই আফতাবনগর হাট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই এখানে দাম একটু বেশি। মূলত এ হাটের ক্রেতারা গৃহস্থরা, যারা পশু কিনে বাসায় নিয়ে আসছেন।
এ হাটে প্রতি কেজি গমের ভূষি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, খেসার ডালের ভূষি ৫০ টাকা, ধানের গুঁড়া ৩০ টাকা, ধানের খড় প্রতি আটি টাকা ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব হাটে পশু খাদ্যের পাশাপাশি কোরবানির জন্য পাওয়া যাচ্ছে হোগলার চাটাই ও খাটিয়াও। প্রতি পিস চাটাই ১২০ থেকে ১৫০ টাকা এবং খাটিয়া প্রতি পিস পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
সারাবাংলা/এমএস/এমআই