বাংলাদেশে চায়না মোবাইল ব্যবহারের হার বেড়েছে ১২৩ শতাংশ
৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:৪১
এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : বেশ কয়েকবছর আগেই বাংলাদেশের বাজারে ঢুকে পড়েছে চীনের তৈরি মোবাইল ফোন। তবে গ্রাহকদের মধ্যে চায়না মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রবণতা এতদিন ছিল ধীরগতিতে। গত বছর পর্যন্ত ১০০ গ্রাহকের মধ্যে ১৩ জন ব্যবহার করেছে চায়না কোম্পানির ফোন। কিন্তু এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ এ। সে হিসেবে এক বছরেই চীনের তৈরি মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণের বেশি। শতকরা হিসেবে যা ১২৩ শতাংশ।
এশিয়াভিত্তিক শিল্প-বাণিজ্য নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘কাউন্টারপয়েন্ট’ মুঠোফোনের বাজার গবেষণা নিয়ে চলতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্বে ‘কাউন্টারপয়েন্ট’ এর ১৩ টি শাখা রয়েছে।
‘কাউন্টারপয়েন্ট’ এর গবেষণা থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের মুঠোফোনের বাজার নিয়ে সর্বশেষ গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের একটি সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিনই বাংলাদেশের বাজারে চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুত করা মুঠোফোন সেটের সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে স্থানীয় একাধিক মুঠোফোন সেট তৈরির প্রতিষ্ঠান তাদের বাজার হারাচ্ছে। চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর মুঠোফোন সেটগুলোর দাম কম কিন্তু সুবিধা বেশি থাকায়, গ্রাহকরা অন্য দেশের প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা মুঠোফোন সেট থেকে চীনের প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা মুঠোফোন সেটের প্রতি বেশি আগ্রহী হচ্ছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের মুঠোফোন সেটের বাজার পুরোপুরি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করছে চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো। এ জন্য তারা কম দামে সেট উৎপাদন করছে। হুয়াই, আইটেল, সাওমি এবং ওপ্পো মূলত চীনের এই প্রতিষ্ঠানগুলোই বেশিরভাগ বাজার দখল করে আছে।
সামনের বছর বাংলাদেশে ফোরজি সেবা চালু হবে। ফোরজি সেবারকে সামনে রেখে এরই মধ্যে চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মুঠোফোন সেট উৎপাদন করে বাজারে ছেড়েছে। এই ক্ষেত্রেও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে রয়েছে।
সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে, সিম্ফনি, ওয়ালটন ও উইনমেক্সের মতো বাংলাদেশের স্থানীয় মুঠোফোন সেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকে থাকতে হলে অতি দ্রুত তাদের ব্যবসায়ীক পলিসিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
সিম্ফনি বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ বাজার দখল করেছে। কিন্তু চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বর্তমানে তারা পাল্লা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। এরই মধ্যে বছরে ২৪ শতাংশ বিক্রি কমতির দিকে স্থানীয় এই প্রতিষ্ঠানটির।
সারাবাংলা/জেআইএল/একে