এ বছর কোরবানি হতে পারে ১ কোটি ১৬ লাখ পশু
২১ আগস্ট ২০১৮ ১৯:২৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: এ বছর ঈদুল আজহায় দেশে প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ গবাদি পশু কোরবানি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়। এগুলোর মধ্যে গরু-মহিষের সংখ্যা প্রায় ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা রয়েছে ৭১ লাখের মতো।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এসব কোরবানির পশুর স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করছে
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কোরবানি পরবর্তী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (এওট) ২০১৫ এর নভেম্বর থেকে এর বাস্তবায়নে কাজ করছে। সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা সদরে প্রতি বছর জনস্বার্থে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করতে বলা হয়। এবারও ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই কার্যক্রমকে মূলত তিনটি পর্যায়ের অধীনে পরিকল্পনা করা হয়। পর্যায় তিনটি হচ্ছে (১) কোরবানির পশু সংখ্যার নিরিখে কোরবানির স্থান নির্ধারণ ও কোরবানি প্রদানের উপযোগীকরণ, জনমত গঠন ও প্রচার, বেসরকারি উদ্যোগকে উৎসাহ প্রদান, সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ ও তার সংস্থান (২) সুষ্ঠুভাবে কোরবানি প্রদান নিশ্চিতকরণ এবং (৩) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
ঈদ পরবর্তী সময় দেশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সীমিত জনবল, অর্থ এবং যন্ত্রপাতি দিয়ে স্বল্প সময়ে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা কষ্টসাধ্য। ঈদ পরবর্তী দিনগুলোতে রাস্তায় আবর্জনা পচে অস্বাস্থ্যকর দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। ঈদ শুরুর কয়েক দিন আগে থেকেই লোকজন স্থানীয় হাট থেকে পশু কেনা শুরু করে। হাটগুলো যততত্র বসে এবং কোরবানিদাতা পশু কিনে অ্যাপার্টমেন্ট বা বাড়িতে রাখে যেখানে কয়েকদিন ধরে পশুগুলো রাখার উপযোগী তেমন ব্যবস্থা থাকে না। এসবও একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনা জরুরি। এবার কর্তৃপক্ষ হাট বসার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে।
মুসলিমদের আল্লাহর কাছাকাছি পৌঁছানোর একটি উত্তম পথ কোরবানি করা। প্রত্যেক মুসলমান ওয়াজিব হিসেবে কোরবানিতে অংশগ্রহণ করে থাকে। কোরবানি মধ্যদিয়ে স্বচ্ছল মুসলমানগণ কুরবানিকৃত পশুর গোস্ত আত্মীয়-স্বজন ও গরীব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষে-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন। এর সঙ্গে শুধু পশু জবাই নয়, বরং ত্যাগ এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ও জড়িত। মুসলমানগণ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহার দিন বা পরবর্তী দুদিন পশু কোরবানি দিয়ে থাকে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই