Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পশু জবাইয়ে মাদ্রাসার ‘সাহসী’ ছাত্ররা


২২ আগস্ট ২০১৮ ১৫:২৪

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: এবারের ঈদুল আজহায় রাজধানীতে প্রায় ৫ লাখ পশু কোরবানি হবে— এমন তথ্য দিচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। আর এসব পশুর একটি বড় অংশই জবাই করছেন রাজধানীর বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা। কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব ছাত্র সাহসী, তারাই মূলত এ কাজ করছন। এজন্য যতসামান্য হাদিয়া পেলেও তাদের মূল উদ্দেশ্য মহৎকাজের অংশীদার হওয়া। এর মাধ্যমে পরকালীন মুক্তির পথ সুগম হবে বলে বিশ্বাস তাদের।

বিজ্ঞাপন

বুধবার ( ২২ আগস্ট) ঈদুল আজহার প্রথম দিনই রাজধানীতে বেশিরভাগ পশু জবাই করা হয়ে গেছে। আর এ কাজে সকাল থেকে ব্যস্ত দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রদের। তাদের বেশিরভাগেই বয়সে তরুণ, কেউ কেউ সদ্য কৈশোর পার করেছে।

উত্তরার একটি মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা শওকত আলী সারাবাংলাকে জানান, ছাত্রজীবন থেকে প্রতি বছর কোরবানির পশু জবাই করে আসছেন তিনি। এ বছরও অন্তত ১৫টি গরু জবাই করেছেন। তার মতো রাজধানীতে অনেকেই আছেন যারা একাই একাধিক পশু জবাই করে থাকেন।

শওকত আলী জানান, উত্তরার মসজিদ কমিটিগুলো প্রতিটি গরু জবাইয়ের জন্য ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। অর্থাৎ জবাই কাজ সম্পন্নকারী ব্যক্তি একটি পশু জবাই দিলে সেখান থেকে হাদিয়া হিসেবে এ টাকা পাবেন। এর বাইরে কম-বেশিও হয়। তবে সাধারণত ২০০ টাকার কমে কেউ কোরবানির পশু জবাই দেন না বলে জানান তিনি।

মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, শহরের ধনী ব্যক্তিরা জবাইয়ের ক্ষেত্রে কেবল নগদ টাকাই নয় মংসও দিয়ে থাকেন। এমনকি মসজিদ ও মাদ্রাসায় নিজ দায়িত্বে এসব মাংস পৌঁছে দেন তারা।

রাজধানীর মালিবাগ জামিয়ার শিক্ষার্থী সোহেল আহমদ জানান, তাদের মাদ্রাসার অন্তত ৫০ জন ছাত্র গরু জবাইয়ের কাজ করছে। সাধারণত তিন-চার জন করে শিক্ষার্থীদের একটি করে দল করা হয়। তারা দলবেঁধে নেমে পড়ে নির্দিষ্ট মহল্লার একেকটি দিকে। দিন শেষে হাদিয়ার টাকা সমপরিমাণে ভাগ করে নেয় তারা।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর উত্তরার জামিয়াতুস সাহাবার প্রিন্সিপাল মাওলানা রুহুল আমিন সারাবাংলাকে বলেন, যেসব ছাত্র সাহসী, তারাই মূলত পশু জবাইয়ের কাজ করে থাকে। এর জন্য আলাদা কোনো নিয়ম-কানুন নেই। মানসিকভাবে যারা একটু শক্তিশালী, তাদেরই সাধারণত এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ জন্য কাউকে জোর করা হয় না বলেও জানান তিনি।

হাদিয়ার পাশাপাশি পরকালীন কল্যাণ লাভও শিক্ষার্থীদের পশু জবাইয়ে সামিল হওয়ার অন্যতম কারণ জানিয়ে মাওলানা রুহুল আমীন বলেন, ‘যিনি কোরবানি করবেন, তিনি নিজেই জবাই করবেন এটাই নিয়ম। তবে শহরের অনেকেই সে কাজটি করতে পারেন না। আবার অনেকে পারলেও শরীরে রক্ত লেগে যাওয়া কিংবা ঝামেলার কারণে কিংবা সঠিকভাবে কোরবানি হবে কিনা, তেমন সন্দেহ থেকে নিজেরা জবাই করতে চান না। সে কারণেই মাদ্রাসার এসব শিক্ষার্থীদের ডাক পড়ে।

আরও পড়ুন-

অলিগলিতে জবাই হচ্ছে কোরবানির পশু

সারাবাংলা/এমএস/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩

সম্পর্কিত খবর