সংকটে ভেনেজুয়েলা, দেশ ছাড়ছে মানুষ
২৬ আগস্ট ২০১৮ ১১:২৭
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
চলমান মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক দৈনদশা ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় স্থবির হয়ে গেছে দক্ষিণ আমেরিকার তেল নির্ভর দেশ ভেনেজুয়েলা। খাদ্যের অভাব ও সু-চিকিৎসা অভাবে দেশটির হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ইকুয়েডর, পেরু ও চিলিতে আশ্রয় নেবার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করায় খোলা আকাশের নিচে রাত পার করছে সেসব পরিবার। জাতিসংঘের বিবৃতিতে জানানো হয়, ভেনেজুয়েলার উদ্বাস্তু পরিস্থিতি ক্রমেই সংকটজনক হয়ে উঠছে। গত তিন বছরে ১৬ লাখেরও বেশি ভেনেজুয়েলার নাগরিক দেশ ছেড়েছে। বর্তমানে আটকে পড়া ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের আশ্রয় দিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আল-জাজিরা জানায়, পেরু সীমান্ত পাড়ি দিতে এখন জাতীয় পরিচয়পত্রের গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। আশ্রয়প্রার্থীদের দেখাতে হচ্ছে বৈধ পাসপোর্ট। তবে শিশু কিংবা বয়স্ক ও সন্তানসম্ভবা মায়েদের জন্য এই নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে, চার লক্ষ ভেনেজুয়েলার অভিবাসী পেরুতে আশ্রয় নিয়েছে।
প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পেরু-ইকুয়েডর সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া জোনাদার পেরেজ বলেন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে ছেড়ে আমাদের চলে যেতে হচ্ছে। ভেনেজুয়েলায় আমরা না খেয়ে ছিলাম।
ভেনেজুয়েলান অবজারভেটরির গবেষক রোনাল রদ্রিগেজ বলেন, ২০০২ সাল থেকে নাগরিকদের দেশ ছাড়ার প্রবণতা শুরু হয়। তখন শুধু ধনীরাই দেশ ছেড়ে যেতেন। এখন তা মারাত্মক হয়ে গেছে।
ভেনেজুয়েলার অর্থনৈতিক অবস্থা ও মুদ্রাস্ফীতি এতটাই বাজে যে, আড়াই কেজি ওজনের একটি মুরগির দাম পড়ছে ১ কোটি ৪৬ লাখ বলিভার! আইএমএফ আশঙ্কা করছে এ বছর ভেনেজুয়েলার মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়াবে প্রায় ১০ লাখ শতাংশে। দেশের এমন দুরবস্থার জন্য প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দায়ী করছেন বিরোধীরা। রাষ্ট্রীর স্থিতিশীলতার জন্য মাদুরোর কোন পদক্ষেপই এখন আর কাজে আসছে না।
সারাবাংলা/এনএইচ
আরও পড়ুন,
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের ওপর ড্রোন হামলা