নতুন ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আমদানি শুরু
২৮ আগস্ট ২০১৮ ১৭:০০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ভারত থেকে নতুন ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আমদানি শুরু হচ্ছে। এজন্য কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৫শ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। ওইদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই আমদানি কার্যক্রম ও নবনির্মিত সাব-স্টেশন উদ্বোধন করবেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভারতের সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে এই বিদ্যুৎ কেনা হবে।
ভারত থেকে নতুন করে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও। তিনি এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, আমরা ভারত থেকে আরো ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আগামী মাসে আমদানি করতে যাচ্ছি। সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে এই বিদ্যুৎ কেনা হবে। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ভারতের সরকারি খাত থেকে আড়াইশ মেগাওয়াট এবং বেসরকারি খাত থেকে আরও আড়াইশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। এরই মধ্যে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্থাপিত এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এই সাবস্টেশনের মাধ্যমেই ভারতের বহরমপুর গ্রিড থেকে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।
এর আগে, ২০১৩ সালে ভারত থেকে প্রথমবারের মতো কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা দিয়ে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছিল।
পরে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটি ভেড়ামারা আন্তঃসংযোগ গ্রিডের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয় ও প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পটির নাম রাখা হয় ‘৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক কনভার্ট ইউনিট-২’। প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল যেন নতুন করে আরও ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা যায়।
এ সময় বাংলাদেশ সরকার সাব-স্টেশন নির্মাণে আর্ন্তজাতিক দরপত্র আহ্বান করে। ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ ৪০৪ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সাবস্টেশন নিমার্ণ প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক। পরে ২০১৬ সালে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৮৭৭ দশমিক ৯২ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয় তিন বছর— ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত তিন বছরের আগেই কাজ শেষ হয়ে যায়। এই সাব-স্টেশনের সঙ্গে ভেড়ামারা-ইশ্বরদী ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ক্রমান্বয়ে ভারত থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে।
সারাবাংলা/এইচএ/টিআর