ইয়েমেনে যুদ্ধরত সব পক্ষই যুদ্ধাপরাধে শামিল: জাতিসংঘ
২৮ আগস্ট ২০১৮ ১৮:২৪
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ইয়েমেনে সংঘর্ষ ও হামলায় জড়িত সব পক্ষের মাধ্যমেই যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) সংস্থাটির মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা জানান, বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি ঠেকাতে তেমন কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি দেশটির সরকারি বাহিনী, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ও হুথি বিদ্রোহীরা।
এদের সবাই আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে হাজারো বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। এমনকি এদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে আটক, নির্যাতন, গুম এবং জোরপূর্বক শিশুদের যুদ্ধে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগও স্পষ্ট। আগামী মাসে বিশেষজ্ঞদের তৈরি প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে জমা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২০১৫ সালে হুথি বিদ্রোহীরা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা দখলে নিয়ে প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে।
হাদি পরবর্তীতে সৌদি আরব পালিয়ে গেলেও তার অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হুথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেয়।
এদিকে হুথিদের পেছনে ইরানের সমর্থন থাকায় সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরো ৭টি মিত্র দেশ হাদি সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা সৌদি জোটকে সামরিক সহায়তা দিয়ে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
এরপর থেকেই দেশটিতে ত্রিপক্ষীয় যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৬শ’ ৬০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরো ১০ হাজার ৫শ’ ৬৩ জন। নিহতের মধ্যে অন্তত ২ হাজার ২শ’ শিশু রয়েছে বলে জানাচ্ছে সেবা সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।
এ পর্যন্ত চলা যুদ্ধে দেশটিতে ১৬ হাজার বিমান হামলা হয়েছে, যার এক তৃতীয়াংশই চালানো হয়েছে স্কুল, হাসপাতাল ও বাজার, পানি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বেসামরিক এলাকাগুলোকে উদ্দেশ্য করে।
জাতিসংঘ একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করলেও, বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সৌদি জোট। তাদের মতে, হামলাগুলো সরাসরি বেসামরিক এলাকায় ওপর চালানো হয়নি।
সারাবাংলা/এএস