প্রকল্প ব্যয় দ্বিগুণ করায় সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ
২৮ আগস্ট ২০১৮ ২০:১১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় আনুপাতিক হারে কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপন, প্রকল্প গ্রহণ ও স্কুল কলেজের নতুন ভবন নির্মাণের আগে অবশ্যই সঠিক ও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরার্শ দিয়েছে জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি কমিটির।
একই প্রকল্পে যেন নতুন করে পরিকল্পনা করতে না হয় এবং প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি না করা হয় সে ব্যাপারে কমিটির সদস্যরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বলে বৈঠকের সূত্রগুলো জানিয়েছে।
সূত্রটি জানায়, দেশের বিভিন্ন জেলায় ও বিভাগে বাস্তবায়নাধীন অনেক প্রকল্প রয়েছে সেসব প্রকল্পের কার্যক্রম অনেকটা ধীরগতি এবং প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের চেয়ে আরও দ্বিগুণ করে প্রস্তাব করা হয়। বিষয়টি সংসদীয় প্রতিশ্রুতি কমিটির নজড়ে আসে। এতে করে কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আজ ২৮ আগস্ট সরকারের প্রতিশ্রুতি কমিটির বৈঠকে এই ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. আব্দুস শহীদ এর সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী, মো. আব্দুল মজিদ খান এবং মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বৈঠকেসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্কুল কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের দিকে আরও বেশি গুরুত্ব প্রদান এবং অবকাঠোমো উন্নয়নে যে সব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা অতিদ্রুত শুরু করার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণা খাতে সরকারের আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি পাওয়ার গবেষণা কাজে ছাত্র, ছাত্রদেরকে আকৃষ্ট করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে ভূমিকা পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোট ৭১টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এই ৭১টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ৫৭৩৫ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা এবং জুলাই, ২০১৮ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মোট ১৩ দশমিক ১৪ কোটি টাকা অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে জুলাই, ২০১৮ মাস পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি শূন্য দশমিক ২৩%। জুলাই, ২০১৮ মাস পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের জাতীয় গড় অগ্রগতি শূন্য দশমিক ৫৭ ভাগ অর্থাৎ জাতীয় অগ্রগতির তুলনায় এ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক অগ্রগতি শূন্য দশমিক ৩৪ ভাগ কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। এই ১০টি প্রকল্প মোট বরাদ্দ ৭৭৩ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জুলাই, ২০১৮ পর্যন্ত কোনো অর্থব্যয় হয়নি।
দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রীকে উপবৃত্তির আওতায় আনার লক্ষ্যে সেকেন্ডারি এডুকেশন স্টাইপেন্ড প্রজেক্টের মাধ্যমে ১০ ভাগ ছাত্র এবং ৩০ ভাগ ছাত্রীকে উপবৃত্তি প্রদান ও সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ও একই হারে উপবৃত্তি প্রদান করা বে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই