অবৈধকে বৈধতা দিচ্ছে রাজউক
২৯ আগস্ট ২০১৮ ১১:৩৬
।। এম এ কে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় অবৈধভাবে নির্মিত ৯টি অভিজাত আবাসিক হোটেলকে বৈধতা দিচ্ছে রাজউক। এসব আবাসিক হোটেলগুলো ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা-২০০৮ অনুযায়ী এবং ঢাকার ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) পরিপন্থী নির্মিত হলেও রাজউক এখন সেগুলোর বৈধতা দিতে কাজ করছে।
গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার এই হোটেলগুলো হচ্ছে, লেকশোর সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড, এসকট দি রেসিডেন্স লিমিটেড, লংবিচ হোটেল লিমিটেড, হোটেল বেঙ্গল ইন লিমিটেড, হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরী লিমিটেড, ডরিন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, গোল্ডেন টিউলিপ দি গ্রান্ডমার্ক এবং হোটেল বেঙ্গল ক্যানারি লিমিটেড।
রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান সারাবাংলা’কে বলেন, ‘এই হোটেলগুলোর কর্তৃপক্ষরা বৈধতা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা একাধিক শর্ত দিয়েছি। শর্তগুলো পূরণ সাপেক্ষে খুব শিগগিরই এগুলো বৈধতা পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার এই ৯ হোটেলের বৈধতা এর আগে ছিল না। এবার বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
রাজউকের সদস্য (প্লানিং) আবুল কালাম আজাদ সারাবাংলা’কে বলেন, ‘বিধি বর্হিভূতভাবে নির্মিত হওয়ায় রাজউকের বোর্ড সভায় গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার ৯টি আবাসিক হোটেলকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।’
বোর্ড সভায় অবৈধ ঘোষণার পর রাজউক কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে রাজউকের সদস্য (প্লানিং) আবুল কালাম আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এরপর আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না আমার জানা নেই।’
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় এসব হোটেলগুলোর প্রকৃত প্লট মালিকরা ভবন নির্মাণের জন্য কখনোই রাউজকে আবেদন করেনি। একাধিক হোটেল অবৈধ জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষ পাশের জায়গা দখলে রেখেছে। কোনো হোটেলই নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হয়নি। এ ছাড়া হোটেলগুলো বাণিজ্যিক হিসেবে বড় সড়কের পাশে অবস্থিত নয়।
সূত্র আরও জানায়, এই হোটেলগুলোকে বৈধতা দিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজউককে চিঠি দিয়ে জানায়, ‘বিদ্যমান ইমারতগুলো গেস্ট হাউজ হিসেবে ব্যবহারের জন্য ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা-২০০৮ অনুযায়ী অনুমোদন এবং ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের নির্দেশনা মোতাবেক গেস্ট হাউজ হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে গণপূর্ত মন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছে। এটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।’
সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই