Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ


২৯ আগস্ট ২০১৮ ১৩:৪৯

আদালত প্রাঙ্গণে লুৎফুজ্জামান বাবর

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: তারেক রহমানসহ বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে এ মামলায় আসামি হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে দাবি করে তার খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী।

বুধবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে যুক্তি উপস্থাপনের সময় বাবরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম এ দাবি করেন।

বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষে আগামী ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর বুধবার আইনি পয়েন্টে উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ঠিক করে দেন আদালত। বুধবার লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে অষ্টম দিনের মত শুনানির মধ্য দিয়ে আসামিপক্ষের পৃথক পৃথক যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়।

আইনজীবী নজরুল ইসলাম আদালতকে বলেন, এই জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের  সময় নিষিদ্ধ করা হয়। তার আমলেই মুফতি হান্নানকে গ্রেফতার করে চার্জশিটও দাখিল করা হয়।

বাবরের পক্ষে তার আইনজীবী আরও বলেন, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহহার আখন্দ বাবর সাহেবকে তিন বার রিমান্ডে নিয়ে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবে তিনি রাজি না হওয়ায় তাকে এ মামলার আসামি করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেছেন— এমন দাবি করে তার খালাসের রায় প্রার্থনা করেন তার আইনজীবী।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাবর সাহেবের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা দুইটা জায়গায় অভিযোগ এনেছে। তার মধ্যে একটা হলো কথিত হাওয়া ভবন, আরেকটা হলো ধানমন্ডির আব্দুস সালাম পিন্টুর সরকারি বাসভবন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষকে প্রমাণ করতে হবে ষড়যন্ত্র  হয়েছিল এবং সেখানে বাবরের  উপস্থিতি ছিল। এ দু’টোর একটাও প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেনি। অভিযোগগুলো তদন্ত কর্মকর্তা রাজনৈতিকভাবে এনেছেন বলে আমার দৃষ্টিতে মনে হয়। তদন্তকারী সঠিকভাবে তদন্ত করেননি।

তার এ বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, হাওয়া ভবনে লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিস চৌধুরী, কায়কোবাদ ও অন্যান্যদের নিয়ে অপরাধজনক ষড়যন্ত্র সভা করেছিল তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ‘তারা সেখানে মিলিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তব্যে সব ধরনের প্রশাসনিক সহায়তা, আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন তারেক রহমান। ফলে দেখা যায়, ২১ আগস্ট যারা হামলা চালিয়েছে তারা ঘটনাস্থল থেকে নির্বিঘ্নে ও প্রশাসনিক সহায়তায় নিরাপদে প্রস্থান করতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই তারেক জিয়া, বাবরসহ অন্যান্যারা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত। এরই একপর্যায়ে আব্দুস সালাম পিন্টুর ধানমন্ডির সরকারি বাসভবনে ২০ হাজার টাকার ১৫টি গ্রেনেড বিতরণ করা হয়েছে।’

এদিকে, মামলার কার্যক্রম শেষে বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন বলেন, আপনারা (আসামিপক্ষের আইনজীবী) সার্বিকভাবে যুক্তি উপস্থাপন করবেন। একজন শেষ হলে আর একজন করবেন। এজন্য অপেক্ষা করবেন না। আইনি যুক্তি উপস্থাপন যেন সার্বিক হয়— সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন।

বিচারক বলেন, আমাদেরকে এ মামলায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। অনেক চড়াই-উৎরাই করে আজকে এখানে এসেছে। আপনাদের অনেক কিছু ফেস করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, চেষ্টা করেছি আইন অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি  দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। মামলাটি এ পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি। মামলা পরিচালনায় সহযোগিতার জন্য তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও উভয়পক্ষের আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা গ্রেনেড হামলা লুৎফুজ্জামান বাবর

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর