Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ চায় বেসিস


২৯ আগস্ট ২০১৮ ১৫:৩৭

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।। 

ঢাকা: অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ চায় তথ্য প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। সংগঠনটি বলছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেয়া উচিৎ। এ বিষয়ে সংগঠনটি রাজউক চেয়ারম্যান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারির আহবানও জানিয়েছে৷
বুধবার (২৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বেসিস মিলনায়তনে ‘রাজউক কর্তৃক অবাণিজ্যিক এলাকায় ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থেকে বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে অব্যাহতি প্রদানের দাবীতে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।

বিজ্ঞাপন

বেসিস সভাপতি বলেন, বেসিসের ১১০০ সদস্যের মধ্যে ৮০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠান ঢাকা শহরের অবাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থান করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। এসকল প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক জনবল কর্মরত। গত অর্থ বছরের এসব প্রতিষ্ঠান স্থানীয় বাজারে বিনিয়োগ করেছে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সমপরিমাণ অর্থ এবং আইটি ও আইটিইএস খাত থেকে রফতানি আয় প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ২০১৬ সালে রাজউক চেয়ারম্যান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা চালিয়ে যেতে দেয়ার দাবি জানানো হয়। সেসময়, গণপূর্ত মন্ত্রী এবং রাজউক চেয়ারম্যান আবাসিক এলাকা থেকে আইটি কোম্পানিকে বাণিজ্যিক এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত শিথিল রাখবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু, বর্তমানে কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি রাজউক এর একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মকর্তা গিয়ে উত্তরায় বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠান সলিউশন ৯ লিমিটেড এর অফিস তালাবদ্ধ করে দিয়ে এসেছেন। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু এভাবে কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ করলে তাদের ব্যবসা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীনই শুধু হচ্ছে না, বরং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও একই কারণ দেখিয়ে উত্তরা এলাকায় অপর একটি প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয় এবং ধানমন্ডি এলাকাতেও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় যারপরনাই মর্মাহত।

বেসিস সভাপতি বলেন, এ ব্যবসার জন্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং নিরিবিলি পরিবেশ প্রয়োজন হয়, সেহেতু সফটওয়্যার কোম্পানিসমূহ আবাসিক এলাকাতেই তাদের ব্যবসাবন্ধব পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়। তাছাড়া আইটি কোম্পানীর জন্য যে ধরনের অবকাঠামো প্রয়োজন হয় তাতে পরিবেশে কোনোরূপ বিরূপ প্রভাব পড়ার ন্যুনতম আশঙ্কা নেই।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেসিসের সিনিয়র সহ সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, ‘অবাণিজ্যিক ভবনে এ ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলো থাকলে আশেপাশের কেউ খুব একটা বিরক্ত হওয়ার কথা নয়। কারণ এসব ভবনে ছোট থেকেই এই প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপত্তি।’

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘আমরা সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক গড়ে উঠতে ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগতে পারে। আমরা এই সময়ের জন্য নিয়মের এই শিথিলতা চাই।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর