নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি: জট খুলছে বিমসটেকে
২৯ আগস্ট ২০১৮ ২১:৫৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহারের আনুষ্ঠানিক সম্মতি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এতে করে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার নিয়ে জটিলতার অবসান হচ্ছে।
নেপালের কাঠমান্ডুতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একান্ত বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। পরে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
এখানে উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা এক আদেশে বলা হয়, ভারতের কোনো সংস্থা প্রতিবেশীদের সঙ্গে কেবল দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে পারবে, ত্রিপাক্ষিক কোনো চুক্তি করতে পারবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা এই আদেশের কারণেই নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে পারছে না বাংলাদেশ। কারণ, এই দুই দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হলে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে হবে, যা ভারত সরকারের এই আদেশের কারণে সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার বিষয়ে বিমসটেকেই একটি সমাধান আসবে। কারণ নেপাল বা ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে হলে আমাদের অবশ্যই ভারতের সহযোগিতা নিতে হবে। কারণ তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করেই বিদ্যুৎ আনতে হবে।’
একই কথা বলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও। বিমসটেক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলাদা বৈঠক হবে। এই সম্মেলনে জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিমসটেক গ্রিড যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা এবং ফৌজদারি ও আইনি বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে দু’টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। আমরা আশা করছি, এই সম্মেলন থেকে গ্রিড কানেকটিভিটি নিয়ে স্মারক সইয়ের মাধ্যমে আমাদের একটি বড় অর্জন হবে। মিয়ানমারসহ সব সদস্য দেশ এরই মধ্যে এ বিষয়ে একমত হয়েছে।
এর আগে, গত ১০ আগস্ট নেপাল থেকে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে দেশটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বিদ্যুৎ খাতের সহযোগিতা ত্বরান্বিত করতে দুই দেশ একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করবে। প্রতিবছর এই ওয়ার্কিং গ্রুপ বৈঠক করবে।
এছাড়া এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় জলবিদ্যুৎ খাতের বিনিয়োগ, বায়ু বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ খাতের অন্যান্য বিষয় নিয়েও দুই দেশ কাজ করবে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নেপালের সঙ্গে পাওয়ার ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) স্বাক্ষর করে। তারপর থেকেই উভয় দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনা শেষে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়। বিমসটেক সম্মেলনে গ্রিড সংযোগের স্মারক সই হলে নেপালের সঙ্গে সই করা স্মারক অনুযায়ী বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগও বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন-
আগামী সপ্তাহে জলবিদ্যুৎ আনতে নেপালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই
সারাবাংলা/এইচএ/টিআর
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বিদ্যুৎ আমদানি বিদ্যুৎ আমদানিতে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতীয় ভূখণ্ডের ব্যবহার