Thursday 10 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নোবেল পুরস্কার হারাচ্ছেন না সুচি


৩০ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৫৮ | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০১৮ ১২:০৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেনা সদস্যদের চালানো নিপীড়নের ঘটনায় দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেবে না নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি । স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ আগস্ট) এই ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

গত সোমবার (২৭ আগস্ট) রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে আসে, মিয়ানমারের সামরিক সদস্যরা রোহিঙ্গাদের ওপর পরিকল্পিত গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত হতে বাধ্য করেছে। অং সান সুচি সেনা সদস্যদের এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন। জাতিসংঘের এই অভিযোগের পর বিশ্বব্যাপী জোরালো হয় সুচির নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার দাবি।

বিজ্ঞাপন

এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, নোবেল কমিটির সেক্রেটারি ওলাভ জোয়েলস্টাড বলেন, ১৯৯১ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করার পুরস্কার হিসেবে অং সান সুচিকে নোবেল সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। অন্যান্য শাখার নোবেল যেমন, পদার্থবিজ্ঞান, সাহিত্য বা শান্তিতে নোবেল দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরস্কার পাওয়ার পূর্বের যোগ্যতার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। তাই নোবেল পদকের নিয়ম অনুযায়ী, এই পুরস্কার প্রত্যাহারের কোন সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, সুচিকে ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। গত বছর নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রেইস এন্ডারসনও  একই দাবিতে বলেন, পুরস্কার জয়ীদের ভাবমূর্তি ধরে রাখার বিষয়টি তাদের নিজেদেরই বিবেচনা করতে হবে।

বর্তমান মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি দীর্ঘদিন মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তাকে ১৫ বছরের মতো গৃহে অন্তরীণ করে রাখে দেশটির সামরিক জান্তারা। গণতন্ত্রের মুক্তিকামী নেত্রী হিসেবে সুচিকে  বলা হতো, ‘এশিয়ার ম্যান্ডেলা’। ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর একটি চুক্তির মাধ্যমে সুচিকে মুক্তি ও ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেয় মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তারা। বর্তমানে সুচি গণতন্ত্রের লেবাসে ক্ষমতা ভোগ করলেও দেশটির নিরাপত্তা, সীমান্ত ও পররাষ্ট্র বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো এখনও মিয়ানমারের জেনারেলদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসছে।

সারাবাংলা/এনএইচ

আরও পড়ুন:
ফেসবুকে নিষিদ্ধ মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

অং সান সুচি নোবেল পুরস্কার রোহিঙ্গা গণহত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর