বন্যপ্রাণী বাঁচাতে নিষিদ্ধ বিড়াল!
৩১ আগস্ট ২০১৮ ০৯:০৯
।। বিচিত্রা ডেস্ক ।।
আদুরে প্রাণী হিসেবে বিড়ালের কদর সারাবিশ্বেই। ঘরে ঘরে এমন আদুরে বিড়ালের দেখা মেলে প্রায় সব দেশেই। সেই বিড়ালকেই কি না এবার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের একটি গ্রামে! কিন্তু এমন অদ্ভূত সিদ্ধান্তের কারণ কী? স্থানীয় পরিবেশ অধিদফতর বলছে, বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে পাখিদের রক্ষা করতেই এমন আইনের পথে হাঁটছে তারা।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এমন ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলের ওমাউয়ি গ্রামে। গ্রামটিতে গৃহপালিত বিড়াল নিষিদ্ধ করতে আইন প্রস্তাব করেছে নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের (সাউথল্যান্ড) পরিবেশ দফতর। তাদের লক্ষ্য, ২০৫০ সাল নাগাদ নিউজিল্যান্ডকে প্রাণীদের জন্য নিরাপদ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলা।
এমন নির্দয় পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ হিসেবে দেশটির জৈব-নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা আলি মেদি বলেন, বিড়ালেরা পাখি শিকার করছে, পোকা-মাকড় ও ছোট ছোট সরীসৃপ মেরে খাচ্ছে। এতে করে স্থানীয় বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
স্মিথসোনিয়ান পরিযায়ী পাখি সেন্টারের প্রধান ডক্টর পিটার মারা জানান, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় শত কোটি পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যুর কারণ এই বিড়ালেরা। যদিও এর পেছনে মানুষের সচেতনতার অভাব রয়েছে বলেও জানান তিনি।
যদিও এমন বক্তব্যের কারণে তাকে ‘বিড়ালবিরোধী’ যেন না বলা হয়, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন পিটার মারা। তিনি বলেন, আমি বিড়ালদের অস্তিত্বের প্রশ্নে সচেতন এবং বিড়াল পোষাকেও সমর্থন করি।
বিড়াল নিষিদ্ধের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বলা হচ্ছে, এখন থেকে বিড়ালের শরীরে বেঁধে রাখতে হবে মাইক্রোচিপ। গ্রামের সব বিড়ালকেই করে দেওয়া হবে বন্ধ্যা। এমনকি কারও পোষা বিড়াল মারা গেলেও তিনি নতুন করে আরেকটি বিড়াল সংগ্রহ করে পুষতে পারবেন না।
স্থানীয়রা অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। ওমাউয়ি গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, সমস্যা থাকতে পারে, তবে তার জন্য এ ধরনের আইন গ্রহণযোগ্য নয়। আইন করলেই যে এ সমস্যার সমাধান হবে, তা নয়। প্রয়োজন হলো দায়িত্ব নিয়ে প্রাণী পোষা।
উল্লেখ্য, ৬৩টি প্রাণী বিপন্ন হতে পারে— এমন আশঙ্কার কারণ হিসেবে বিড়ালকে অনেকাংশে দায়ী করে আসছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
সারাবাংলা/এনএইচ/এএস