Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফেঁটে চৌচির আমনের ক্ষেত, কৃষকের কপালে ভাঁজ


১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:২২

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

দিনাজপুর: প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে প্রতিবছর চাষাবাদ করে থাকেন দিনাজপুরের কৃষকরা। তবে চলতি বছর পুরো বর্ষা মৌসুম পেরিয়ে গেলেও দেখা নেই বৃষ্টিপাতের। সদ্য রোপন করা আমনের চারাগুলোতে পানি সরবরাহ না করতে পারায় জমি ফেটে চৌচির।

একদিকে বৃষ্টিপাত না থাকায় জলাশয়গুলোতেও দেখা দিয়েছে পানির অভাব। অপরদিকে সম্প্রতি বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাগাতার লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে নলকূপের মাধ্যমেও উত্তোলন করা যাচ্ছে না সেচের পানি। তবে জ্বালানি তেল চালিত শ্যালো মেশিন ব্যবহার করে পানি উত্তোলন করলেও খরচ গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে এবার চলতি মৌসুমে জেলার ২ লাখ ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে বর্ষা মৌসুমেও খরা হওয়ায় অধিকাংশ কৃষকই বৃষ্টিপাতের অপেক্ষায় থেকে ধানের চারা রোপন করতে পারেনি। অনেকে দেরি করে চারা রোপন করেছে।

তারপরও বর্তমানে চলতি মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে ছাড়িয়ে গেছে। তবে দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা হলে চলতি মৌসুমে আমন চাষের পাশাপাশি ফলনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০ নং কমলপুর ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর আমন চাষের সময় বৃষ্টির পানিতে জমি তলিয়ে যায়। এ বছর বৃষ্টির আশায় বসে থেকে আমনের চারা রোপন করতে দেরি হয়ে গেছে। কোনোভাবে চারা রোপন করা হলেও পানির অভাবে দেখা দিয়েছে আরেক সংকট।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিনি সাত বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। চারা রোপনের পর জমিতে পানি সরবরাহ করতে গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা। এ ছাড়া তীব্র তাপের কারণে জমিতে বারবার সেচ দেওয়ার দরকার হচ্ছে। খরচ বহন করতে না পারায় অধিকাংশ কৃষক ঠিকমতো জমিতে পানি দিতে পারছে না। এতে ধানের ক্ষেত ফেঁটে চৌচির হয়ে পড়ছে। একদিকে বৃষ্টিপাতের দেখা নাই অপরদিকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও অচল।

বিজ্ঞাপন

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ২ লাখ ৫৭ হাজার জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে ছাড়িয়ে গেছে। এবার আমন চাষে চরম বিপাকে কৃষকরা। বরাবরই আমন চাষে প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের পানি সহায়ক হিসেবে কৃষকের পাশে দাঁড়ায়। এবার পুরো বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও ভারি কোনো বৃষ্টিপাতের দেখা নেই। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেরিতে আমন চারা রোপন করেছেন কৃষকরা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে চাষাবাদের পাশাপাশি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে।

সারাবাংলা/এমএইচ/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর