মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট যুক্ত হচ্ছে বিমানবাহিনীতে
৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:১৫
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : বিমানবাহিনীর আধুনিকীকরণে খুব শিগগির এতে যুক্ত হচ্ছে মাল্টিরোল এয়ারক্রাফট, উন্নত পরিবহন বিমান, অত্যাধুনিক বেসিক ট্রেনিং হেলিকপ্টার, জেট ট্রেনার এয়ারক্রাফট, সিমুলেটর, আন-ম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকল সিস্টেম, লং এন্ড শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স রাডার এবং মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল-জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যশোরে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটিতে বিমান বাহিনী আয়োজিত প্রশিক্ষণ সমাপন কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
মুক্তিযুদ্ধে বিমানবাহিনীর শহীদ সদস্যদের শ্রদ্ধা জানিয়ে নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে মাতৃভূমি রক্ষায় সংবিধান মেনে আপনাদের কাজ করে যেতে পারে। সুখি-সমৃদ্ধ একটি সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আপনাদের কাজ করে যেতে হবে।
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের নেওয়া প্রতিরক্ষা নীতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সামরিক কৌশলগত দিক বিবেচনায় রেখে বঙ্গবন্ধু একটি আধুনিক বিমান বাহিনীর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ সেই প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে তৈরি করা হয়েছে।
কুচকাওয়াজে নারীদের অংশগ্রহণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০০ সালে আমরাই সর্বপ্রথম সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের কমিশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া শুরু করি।
বিমানবাহিনীকে আধুনিকীকরণ ও সক্ষমতা বাড়াতে যুক্ত হতে যাওয়া বিভিন্ন এয়ারক্রাফট ও রাডারের বিবরণ দিয়ে তিনি জানান, বরিশাল ও সিলেটে নতুন দুইটি বিমান বাহিনীর ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিমানবাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে নয়, কারো করুণায় নয়, বাংলাদেশ নিজেদের সম্পদে বিশ্বের বুকে এগিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বিমানবাহিনীর কাজে আস্থা রেখে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যে সোনার বাংলা গড়ার। যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। আমরা সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত করব।’
সারাবাংলা/একে/এমএ