Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নাইকো মামলায় খালেদাকে হাজিরের নির্দেশ


৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:২১

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) ইস্যুর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক বিচারক মাহমুদুল কবীরের আদালত এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে বিচারক আগামী ১১ অক্টোবর মামলাটিতে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ও চার্জগঠন শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা, জিয়া উদ্দিন জিয়া, হান্নান ভূঁইয়া, হেলাল উদ্দিনসহ আরোও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিন শুনানি শেষে বিচারক মামলার আগামী ধার্য তারিখে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাশকন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) ইস্যুর আদেশ দেন।

মামলাটিতে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমান এবং প্রাক্তন সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইনের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অভিযোগ শুনানি করে তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছেন। আর খালেদা জিয়াসহ পাঁচ আসামির পক্ষে চার্জশুনানি হয়নি।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

বিজ্ঞাপন

গত ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।

অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্স্’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

সারাবাংলা/এআই/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর