জাবালে নূরের মালিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এ সপ্তাহে
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:১২
।।সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ডিএমপির মিডিয়া কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
চার্জশিটে জাবালে নূর পরিবহনের ঘাতক বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ, তার সহকারী এনায়েত হোসেন, বাসটির মালিক শাহাদাত হোসেন, অপর বাসের চালক জুবায়ের সুমন, সহকারী আসাদ এবং মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে অভিযুক্ত করা হবে।
২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কাছে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী মিম ও আব্দুল করিম নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
মিরপুর ও বরগুনা জেলায় অভিযান চালিয়ে জাবালে নূরের তিন বাসের তিন চালক এবং তাদের দুই সহযোগী এনায়েত ও রিপনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
এরপর গত ১ আগস্ট সন্ধ্যায় র্যাবের পক্ষ থেকে জাবালে নূরের ঘাতক বাসের মালিক শাহাদাত হোসেনকে (৬০) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া ছয়জনকে পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছে ডিবি।
জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুইজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ৯ দফা দাবি আদায়ে রাজপথে নামেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। পাশাপাাশি দিয়া-রাজিবের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে অর্থ সহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তদন্তের বিষয়ে আবদুল বাতেন বলেন, ‘জাবালে নূর পরিবহনের একজন মালিকসহ ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই চার্জশিট আদালতে পাঠানো হবে। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আসামিদের ৩০৪ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, রমিজ উদ্দিনের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় উসকানি ছড়ানোর দায়ে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। তার পক্ষ হয়ে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে যে, রিমান্ডে এনে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, এ কথা সঠিক নয়। রিমান্ডে এনে নির্যাতনের অভিযোগ এর আগেও অন্যদের বেলাতেও করা হয়েছে। যা সঠিক ছিল না।
শহিদুল আলম সম্পর্কে অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে কোন ধারায় অভিযোগ এনে চার্জশীট প্রদান করা হবে তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
ঈগল পরিবহনের বাসের চাপায় রুপনগর থানার এসআই উত্তম কুমার নিহতের ঘটনায় শাহ আলী থানায় একটি মামলা হয়েছে। বাসের চালক, হেলপার গ্রেফতার আছে। বাসটিকে জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়েছে। বাসটি জব্দ করেই এসআই উত্তম থানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাইনখোলা এলাকায় যেতেই বাসটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই উত্তম মারা যায়।
সারাবাংলা/ইউজে/একে