দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরা হলো না মা-ছেলের
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৩৫
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
নোয়াখালী : নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় পিকআপ ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও ছেলে মারা গেছে।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেনবাগের রাস্তার মাথায় এই দুর্ঘঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন আরো তিনজন। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতরা হলেন, সেনবাগের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের উত্তর রাজারামপুর গ্রামের ইমান আলীর স্ত্রী ফিরোজা বেগম(৬০), তাঁর ছেলে মো. মোহন (৩৫)।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইন উদ্দিন আহমদ জানান, ফিরোজা বেগম, তার ছেলে মোহন, ছেলের স্ত্রী শিমু ও নাতি মিরান (৫) ছমির মুন্সির হাট এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন তারা। পথে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেনবাগ রাস্তার মাথা নামক স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফার্ণিচার বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান সামনের দিক থেকে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী ফিরোজা বেগম ও তার ছেলে মোহন মারা যান।
অটোরিকশার অন্য দুই যাত্রী শিশু মিরান, তার মা শিমু এবং পিকআপে থাকা ফার্ণিচারের মালিক মাসুদ আলমকে (৩৫) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন মো. আবদুল আজিম জানান, আহতদের মধ্যে মিরান ও মাসুদ আলমের অবস্থা আশংকাজনক।
আহত মাসুদ আলমের বাবা সেনবাগের ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের সফি উল্লা জানান, তার ছেলে ঢাকা সোয়ারি ঘাটে ব্যবসা করেন। সেখান থেকে একটি পিকআপ ভ্যানে করে ফার্ণিচার নিয়ে বাড়ি আসার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন।
দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের চালক দুজনেই পালিয়ে গেছেন বলে জানান ওসি। তবে তাদের খুঁজে বের করতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন : সাভারে পিকআপ-ট্রাক সংঘর্ষে প্রকৌশলীসহ ৩ জনের মৃত্যু
সারাবাংলা/এসএমএন