শেয়ার কেলেঙ্কারি: দুদকের ১২ মামলায় ১৫ আসামি
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:৩৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পাঁচ কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ১২ মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিদের বিরুদ্ধে ৬৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এসব মামলায় বাদী হয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক টিপু সুলতান ফারাজিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে দুদক।
সেদিন দুদকের হাতে গ্রেফতার হওয়া অপর দুজন হচ্ছেন- আইএফআইসি ব্যাংকের পল্লবী শাখার ম্যানেজার মো. আব্দুস সামাদ ও আইসিবি’র কলাবাগান শাখার মা. এহিয়া মন্ডল। রমনা থানায় দায়ের করা ‘৪৪ (৩০/০৮/২০১৮)’ নং মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিকে, নতুন ১২ মামলায় মোট আসামি ১৫ জন। সব মামলাতেই আসামি হয়েছেন ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পাঁচ কর্মকর্তা। তারা হলেন- আইসিবির সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) টিপু সুলতান ফারাজি, তিন সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. এহিয়া মন্ডল, মো. সামছুল আলম আকন্দ ও শরিকুল আনাম, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ধনঞ্জয় কুমার মজুমদার।
অন্য আসামিরা হলেন- আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সামাদ ও তার স্ত্রী নাসিমা আক্তার, তেজগাঁও স্টাফ কোয়ার্টারের এ কে এম রেজাউল হক ও তার স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা, মোহাম্মদপুর খিলজি রোডের লাইলা নুর, তেজাগাঁও মণিপুরী পাড়ার এ কে এম আতিকুজ্জামান, গ্রিন রোডের কাজী মাহমুদুল হাসান, গুলশানের শেখ মেজবাহ উদ্দিন ও তার মেয়ে শিমা আক্তার এবং শ্যামলীবাগের বুলবুল আক্তার।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ২০০৯ সালের শেষের দিকে শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে ক্রমাগত বাড়তে থাকে। অতি মুনাফার লোভে গ্রাহক ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নেগেটিভ পারচেজ থাকা সত্বেও বিও হিসাবধারী তার অ্যাকাউন্টের সীমার বাইরে ব্যাপক অনিয়ম ঘটিয়ে সরকারি অর্থে অস্বাভাবিক ঋণ নিয়ে শেয়ার কেনেন। পরে শেয়ারের দর পড়ে যাওয়ায় সরকারের বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও