বিমসটেকে রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ ছিল না বাংলাদেশ-মিয়ানমারের
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৪০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ‘সদ্য সমাপ্ত বিমসটেক (বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিকেল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার কোনো পক্ষই আগ্রহী ছিল না। শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে এ জন্য রোহিঙ্গা ইস্যু স্থান পায়নি।’
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিমসটেক সচিবালয়ে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে বিমসটেক মহাসচিব এম শহীদুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনা হল না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বিসমটেক মহাসচিব এম শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনা করতে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার কারো আগ্রহ ছিল না। এজন্য বিমসটেকে রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার দুইটি রাষ্ট্রই কূটনৈতিকভাবে পরিণত (ম্যাচিউরড)। এই দুইটি দেশ নিজেরাই রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান করতে চায়, এ জন্য হয়তো বিমসটেকে এই বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আগে সবগুলো দেশের কাছে আলোচ্য সূচির বিষয়ে প্রস্তাব চাওয়া হয়। সদস্য দেশগুলোর দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্য সূচি ঠিক করা হয়। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের আগেও সদস্য দেশগুলোর কাছে আলোচ্য সূচির প্রস্তাব চাওয়া হয়। সবগুলো দেশের প্রস্তাব নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার জন্য নেপাল চূড়ান্ত আলোচ্য সূচি ঠিক করেছে।’
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে তাতে এবার রোহিঙ্গা ইস্যু অর্ন্তভূক্ত হলে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন নাও হতে পারত। বাংলাদেশ এই ইস্যুতে আলোচনা করতে আগ্রহী থাকলেও মিয়ানমার আগ্রহী ছিল না। আর মিয়ানমারের পক্ষে আরো কয়েকটি সদস্য দেশের সমর্থন ছিল।
কূটনৈতিক সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ২১ বছরেও বিমসটেক উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি। ২০১৪ সালের পর একটি লম্বা সময় বিরতি দিয়ে এবার শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য বিমসটেক’কে একটি কার্যকর ফোরামে পরিণত করা সম্ভব। তাই রেষারেষি না করে বাণিজ্য, খনিজ, ব্লু ইকোনমি, যোগাযোগসহ একাধিক খাতে আঞ্চলিক উন্নয়নের প্রতি এবারের শীর্ষ সম্মেলনে জোর দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/জেআইএল/জেডএফ