প্রতারণা করে পালিয়ে যাওয়ার আগেই সিআইডির হাতে আটক ৯ প্রতারক
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৫৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নানা নামে ভূয়া ট্রাভেল এজেন্সি খুলে প্রতারনা করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালানোর আগেই “সেবা ট্রাভেলস” নামে একটি ভূয়া এজেন্সির ৯ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের বিশেষ অপরাধ শাখা (সিআইডি)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকার ১০ নাম্বার রোডের ১০ নম্বর বাড়ির ৫ম তলায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এনামুল কবির।
আটককৃতরা হলেন- ১.মোঃ শরীফুল ইসলাম সজীব (৩৮), পিতা মৃত রবিউল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকায়। তিনি সেবা ট্রাভেল এজেন্সির চেয়ারম্যান; ২. মোঃ গোলাম মোস্তফা কামাল (৫০), পিতা মৃত আব্দুর রহমান। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বাহ্মনপাড়া এলাকায়। তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক; ৩. মোখলেছুর রহমান (৪০), পিতা মৃত আব্দুর রহমান। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বাহ্মনপাড়ায়; ৪. আশাদুল হক (৩৮), পিতা মৃত ফজলে রহমান। গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার আট বিল দর্পনস্কর এলাকায়; ৫. আলতাফ হোসেন রাজীব (৩৮), পিতা মৃত মোজাহার আলী। গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার কিসামত মধুপুর গ্রামে; ৬. আসাদুজ্জামান ওরপে বাবু আজিজ (২৯), পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান। গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরি এলাকায়। তারা ৪ জন এজেন্সির পার্টনার; ৭. জাহাঙ্গীর আলাম (৩২) কম্পিউটার অপারেটর, পিতা নাজমুল হোসাইন। গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর এলাকায়; ৮. আব্দুল কাদের সরকার ওরপে নুরুন্নবী ওরপে রতন (৪০), হিসাব রক্ষক, পিতা মকবুল হোসেন। গ্রামের বাড়ি লানমনিরহাটের দর্শনস্কর এলাকায় এবং ৯. মোঃ আবুল কালাম আজাদ ওরপে হাসান ওরপে বুলেট (৪৩), পিতা মৃত রবিউল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি লালমনির হাটের খুনিয়াগাছ এলাকায়।
আটকৃতদের কাছ থেকে ২৪ টি জাল পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৯টি পাসপোর্ট জাল ভিসাসহ ১০টি বিভিন্ন দেশের জাল ডিমান্ড লেটার, ২টি সীল ও বিমএইটির চারটি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড, ১৩ টি মোবাইল ফোন ও একটি কম্পিউটারসহ নগদ ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছে বিভিন্ন যাত্রীদের নামের তালিকা ও যাত্রীদের কাছ থেকে জমা টাকার রেজিস্টার কপি জব্দ করা হয়েছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এনামুল কবির বলেন, তারা অল্প সময়ের জন্য বিভিন্ন ভিআইপি ভবনে রুম ভাড়া নিয়ে প্রতারণামূলক কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তারা এভাবে একেক সময় একেক স্থানে প্রতারণা করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু এবার পালিয়ে যাওয়ার আগেই তাদেরকে আটক করা হয়েছে। সিআইডির ইন্টেলিজেন্স টিমের অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগী একজনের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই অশিক্ষিত। কেউ কেউ এইট পাশ করেছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু দেখে তা মনে হচ্ছে না। তারা প্রত্যেকে সম্পূর্ণ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য।
এরই মধ্যে সাতজন যাত্রীকে কুয়েত পাঠাবে বলে ২০ লাখ টাকা নিয়েছে। বাকি আরও টাকা আজকে দেয়ার কথা ছিল ওই যাত্রীদের। এসব তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে বলে জানান তিনি।
সারাবাংলা/এসএইচ/জেএএম